• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

আওয়ামী লীগের লক্ষ্যবস্তু ৫০ প্রার্থী, প্রথম লক্ষ্য সফল: হাদিকে গুলি প্রসঙ্গে রাশেদ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যবস্তু ৫০ প্রার্থী, প্রথম লক্ষ্য সফল: হাদিকে গুলি প্রসঙ্গে রাশেদ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৫০ প্রার্থী আওয়ামী লীগের লক্ষ্যবস্তুতে আছেন এবং তারা প্রথম লক্ষ্য ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার মাধ্যমে সফল হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য মুক্ত আলোচনা: তরুণদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

রাশেদের দাবি, নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবে হাদিকে গুলি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্ল্যান আছে এবং এই প্ল্যানের সঙ্গে ভারত জড়িত। কারণ ভারত আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে বন্ধু মনে করে না। মোটামুটি ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করা হয়েছে। এক নম্বর টার্গেট তারা সাকসেস করেছে। ওসমান হাদি ভাইকে গুলি করেছে। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল।’

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাদির সঙ্গে কথা হয়েছিল জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি তাকে ওইদিন বলেছিলাম যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে নির্বাচন বানচালের। প্রথম ষড়যন্ত্র হলো রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা। এরপর জাতীয় পার্টির কাঁধে ভর করে ফিরিয়ে আনা। এখন আবার স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে। বিচার শেষ হওয়ার আগে যদি আওয়ামী লীগ সুযোগ পায়, সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন বানচাল হবে। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়, নির্বাচন বানচাল করা।’

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন রাশেদ। তার মতে, নির্বাচন না হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, কর্মসংস্থান হবে না।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে ফাঁকা আওয়াজের বাইরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ঘাটতি আছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আছেন। তাকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি পেঁয়াজ নিয়ে উত্তর দেন। তার ওপর আমাদের আস্থা নেই। সরকারের উচিত এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পরিবর্তন করা।’

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী।

সভায় অর্থনীতিবিদ সায়েমা হক বিদিশা বলেন, দেশে মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ তরুণ। তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তরুণদের শিক্ষিত ও দক্ষ করে দেশের কাজে লাগাতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, তরুণদের এগিয়ে আনতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টরের মাধ্যমে তরুণদের পুঁজির সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বড় বড় ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!