ঢাকার মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, তাদের সুরতহাল প্রতিবেদনে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য এসেছে।
দুজনের সুরতহালে দেখা যায়, নিহত আফরোজার শরীরজুড়ে ৩০টি জখমের চিহ্ন। আর তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫) গলায় ৪টি গভীর আঘাতের ক্ষত।
এরমধ্যে আফরোজার বাম গালে ৩টি, থুতনিতে ৪টি, গলার নিচে বাম পাশে ৫টি, বাম হাতে ৩টা, বাম হাতের কব্জিতে ১টি, ডান হাতের কব্জিতে ২টি, বুকের বাম পাশে ৯টি, পেটের বাম পাশে ২টা ও তলপেটের নিচে একটি জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
অপরদিকে নাফিসার বুকের দুই পাশে ৪টি গভীর ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারালো ছুরিকাঘাতে ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এমন সুরতহাল সাম্প্রতিক সময়ে তারা দেখেননি। হত্যার ধরন ও নৃশংসতা দেখে ঘাতককে প্রশিক্ষিত বলে ধারণা করছেন তারা।
পুলিশের একটি সূত্রে জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর বাসা তল্লাশি করে বাথরুমে একটি চাইনিজ সুইচ গিয়ার ও একটি ধারালো চাকু পাওয়া যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়ে মা-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নাফিসার বাবা সকাল ৭টায় স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় ঢোকে গৃহকর্মী আয়েশা। ঠিক দুই ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মেয়ের স্কুলড্রেস পরে, কাঁধে স্কুলব্যাগ নিয়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বের হয়ে যায়। বের হয়েই বাসার সামনে একটি অটোরিকশা নিয়ে উল্টো পথে চলে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাফিসার বাবা বাসায় ফেরেন।

































