কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আজ থেকে আমাদের সবাইকে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলতেই হবে। যদি জয় বাংলা বলা অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমাকে আগে ধরুন। তারপর বাকি যারা বলবে, তাদের ধরুন।
তিনি আরো বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেফতার করা একদম অযৌক্তিক। বঙ্গবন্ধুর ঘরবাড়ি ভাঙা উচিত নয়, আর তার জন্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এটা একতরফা কাজ।
শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে মা-বাবার কবর জিয়ারতের পর এক সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। এর আগে, বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কারামুক্তি লাভের পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে আসেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার যদি ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তাহলে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নেবো না। গত ১৫ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একবারও আমাদের ডাক হয়নি। এই সরকারের আমলে আমরা দেশের কথা বলার জন্য একবারও আহ্বান পাইনি।
তিনি আরও বলেন, যদি সরকার আমাদের ডাকে, তখন আমরা নির্বাচন কমিশন ডেকেছে—এ কথা বলবো। তবে, একতরফা নির্বাচন দেশে ভালো ফল বয়ে আনবে না। নির্বাচনে যদি আগে থেকেই পরিকল্পিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যতের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি আমাদের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে চিনেছেন, আর আমরা অনেক পরে তাকে চিনেছি। ২০১২ সালের দিকে যখন গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল, তখন আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাদের উদ্যোগ ছাড়া হয়তো অনেক গ্রামীণ ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেত।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যদি নির্বাচন ইচ্ছেমতো ফলাফল তৈরি করা হয়, তবে সেটা দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে একমত পোষণ করে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আল্লাহর অপার করুণায় আমরা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছি, নাহলে আজকে আমরা ঘৃণিত হতাম। ৫ আগস্টের আগে যেসব বড় ব্যক্তি নিজেদের ভাবধারা নিয়ে চলতেন, তাদের সেই ভাব আর কেউ ধারণ করে না। আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না।
এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী, তাদের ছোট ভাই এবং কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

































