জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে যা বলল সেনাসদর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে যা বলল সেনাসদর

সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা যথাযথভাবে পালন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাবাহিনীকে নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কিছু সেনাকর্মকর্তার প্রচারণার বিষয়ে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। কে কি উদ্দেশ্যে এসব প্রপাগান্ডা ও মিস-ইনফরমেশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিচ্ছে সেটা আপনারা ভালো বোঝেন।

সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মব প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। প্রায় ৮০ শতাংশ হারানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। অস্ত্র উদ্ধার হলে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সহযোগীতা করবে।

মব সন্ত্রাসের বিষয়ে তিনি বলেন, মবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রয়েছে। যেখানে যখন মব সন্ত্রাস হয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তথ্য বিলম্বে পাওয়ার কারণে কয়েকটি জায়গায় যেতে বিলম্ব হয়। কোনও মব বা কোনোকিছু করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার সুযোগ নেই। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাড়ির সামনে একটি মব সৃষ্টি হয়েছিল, যখন সেনাবাহিনী মেসেজ পায় সেখানে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিট উপস্থিত হয়ে মব নিয়ন্ত্রণ করে।

রাজবাড়ীতে নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার মরদেহ তুলে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া ও দরবারে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজবাড়ীর ঘটনাটি অনেক পরে সেনাবাহিনী জানতে পারে। যখনই জানতে পেরেছে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তৎপর।

গুম কমিশনকে সেনাবাহিনীর সহযোগীতার বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, গুম কমিশন নিয়ে যে গুজব সেটা আসলেই গুজব। কেননা গুম কমিশনের তদন্তের জন্য সেনাবাহিনীর যাদের ডাকা হয়েছে সবাই গুম কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এখনও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হলে সহযোগিতা করে যাবে।

সীমান্তে আরকান আর্মির উৎপাত ও চোরাচালানের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে যে সংস্থাগুলো কাজ করে, তারা এ বিষয়গুলো দেখছে। তারা এ বিষয়ে সজাগ ও সোচ্চার আছে। এছাড়া সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে পরিস্থিতি অবনতি হলে সবাই সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা কাজ করছে।

Link copied!