ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়াসহ তিন দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) একাধিক বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর শাহবাগ মোড় বুধবার সকালে আবারও অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করার পর রাত আটটার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে সরে যান তারা। এরপর রাজধানীর ব্যস্ততম ওই মোড় দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ বলেন, তিন দফা দাবি আদায়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (রুয়েট) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা লংমার্চ করে সকালে শাহবাগ মোড় অবরোধ করবেন। দাবি আদায়ে সেখান থেকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাবেন।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া। এসব দাবিতে মিছিল নিয়ে গতকাল বেলা তিনটার দিকে শাহবাগ মোড় এসে অবরোধ করেন বুয়েটসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা।
অবরোধ চলাকালে সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সহসভাপতি শাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, তাঁরা ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এসব দাবি পূরণে কাজ করেনি। সরকার তাঁদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।
এ সময় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালি উল্লাহ বলেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে সরকার। তাঁরা সারা দিন সচিবালয়ে থাকলেও কারও সঙ্গে বসতে পারেননি। এরপর তাঁরা বাধ্য হয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাকিল আহমেদ বলেন, রংপুরে এক প্রকৌশলীকে আটকে রেখে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটাই তাঁদের প্রথম দাবি। এ ছাড়া আগে থেকে তারা যে তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছেন, সেগুলো মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
১. ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনও পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।



































