প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ সব আন্দোলনে শেখ কামাল সক্রিয় ছিলেন। একই সঙ্গে খেলাধুলার প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক। তিনি অনেক সাংগঠনিক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে তার কর্মময় জীবন নিয়ে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, “কামালের জন্য সবচেয়ে দুঃখ, ওর জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে আমার বাবা জেলে যান ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরে। কাজেই কামাল বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিল। আমিও বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিলাম।”
এর আগে শেখ কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২১ বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন।
প্রথমবারের মতো ৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব/প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান করা হয়। শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন কাজী মো. সালাউদ্দিন (আজীবন সম্মাননা), ক্রীড়াবিদ মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আর্চারি), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারত্তোলন), ক্রীড়া সংগঠক মনজুর কাদের (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) ক্য শৈ ল হ্ন (কারাতে ফেডারেশন), উদীয়মান ক্রীড়াবিদ আকবর আলী (ক্রিকেট), ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল), ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ক্রীড়া সাংবাদিক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটে বোর্ডের সভাপতি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিমসহ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।