এক দিনেই ১০০ পয়েন্ট বা প্রায় পৌনে ২ শতাংশ কমে আবারও ৬ হাজারের নিচে নেমে এসেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটিও কমেছে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট বা পৌনে ২ শতাংশ। সূচক কমলেও আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে দুই বাজারেই।
রোববার (২৭ জুন) ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮২ শতাংশেরই দরপতন ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ১৫ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত ৩ শতাংশের। অপরদিকে চট্টগ্রাম বাজারে লেনদেনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৭ শতাংশের দাম কমেছে, বেড়েছে ১৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪ শতাংশের।
লকডাউনের কারণে লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে বড় ধরনের দরপতন দিয়েই নতুন সপ্তাহের লেনদেন শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের এমন পতন দেখতে হয়নি।
গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শেয়ারবাজারে লেনদেনও বন্ধ হয়ে যায়। তখন একটানা ৬৬ দিন শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ ছিল। শেয়ারবাজারে যারা ঋণ করে বিনিয়োগ করেন, লেনদেন বন্ধ থাকলেও তাদের ঋণের বিপরীতে সুদ গুনতে হয়। তাই কঠোর লকডাউনে আবারও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এ আতঙ্কে গতকাল অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।