তিন দিনের রিমান্ড শেষে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হচ্ছে। রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওহিদুল ইসলাম জানান, রিমান্ডে ইভ্যালি ও তার কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের এক টেবিলে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানান।
এদিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মো. কামরুল ইসলাম চকদার বাদী হয়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরও একটি মামলা করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। মাত্র আড়াই বছরের মাথায় ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি।
আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।