• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

মুনিয়ার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের ‘নারাজি’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৬:১৫ পিএম
মুনিয়ার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বোনের ‘নারাজি’

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দেওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি (প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা) জানিয়েছেন মুনিয়ার বোন, মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া।

মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির হয়ে মোসারাত জাহান মুনিয়ার বড় বোন ও মামলার বাদী নুসরাত জাহান এই নারাজি আবেদন জমা দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এই নারাজি আবেদন দাখিল করে অন্য কেনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছেন তিনি।

আদালত নথি পর্যালোচনা শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেবে বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন।

শুনানিতে তিনি বলেন, “তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। বিভিন্ন অডিও ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়েছে। তদন্তে মুনিয়ার পরিবার ন্যায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই অন্য কোনো তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত না করা হলে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ন্যায় থেকে বঞ্চিত হবে।”

আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ জুলাই আদালতে  ‘ফাইনাল রিপোর্ট’ দাখিল করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সে সময় বলেছিলেন, “মুনিয়ার আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনার’ অভিযোগ এনেছে মুনিয়ার পরিবার।

বাদীর অন্যতম আইনজীবী ব্যরিস্টার এম সরোয়ার হোসেন জানান, গত ২৯ জুলাই মামলার ধার্য তারিখেই মামলার বাদী নারাজি আবেদন জমা দিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু লকডাউনে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা জমা নেওয়া হয়নি।

এরপর ৮ আগস্ট আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন এখনই গ্রহণ না করে নারাজি আবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন তানিয়ার আইনজীবীরা। সেটি মঞ্জুর করে আদালত সেদিন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

আইনজীবী সরোয়ার বলেন, “তদন্ত কতৃপর্ক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তার বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেনি। অটোপসি রিপোর্ট দেখেননি অথবা গুরুত্ব দেননি। তদন্তে কী পাওয়া গেল তা নিয়ে বাদীর সঙ্গে আলাপ আলোচনাও করেননি।”

গত ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।

Link copied!