• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩০, ১৭ শা'বান ১৪৪৬

দেশে যক্ষারোগীদের এইডসে আক্রান্তের হার ০.১


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ১০:১৬ এএম
দেশে যক্ষারোগীদের এইডসে আক্রান্তের হার ০.১

দেশে যক্ষারোগীদের মধ্যে এইডস রোগে আক্রান্তের হার তুলনামূলক কম। জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে, যক্ষারোগীদের মধ্যে এইডস রোগে আক্রান্তের হার শূন্য দশমিক এক শতাংশ।

সোমবার (২৮ জুন) রাজধানীর মহাখালীর নিপসম মিলনায়তনে যক্ষারোগীদের এইডসে আক্রান্ত নিয়ে এক গবেষণায় এই ফলাফল তুলে ধরা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজারে একজন যক্ষারোগী এইচআইভি-এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। যেসব রোগীর শরীরে যক্ষার ওষুধ কাজ করে না, তারা এইডসে আক্রান্ত বলে প্রমাণও পাওয়া যায়নি। 

গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ১২ হাজার ৬৫ জন যক্ষারোগীর নমুনা পরীক্ষাকারীর মধ্যে ১২ জন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জন গৃহিণী রয়েছেন। তাদের রক্তসঞ্চালন বা অস্ত্রোপচারের কোনো ইতিহাস নেই এবং তাঁরা সঙ্গীর মাধ্যমে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

যক্ষ্মারোগীদের মধ্যে এইডসে বেশি আক্রান্ত পরিবহনশ্রমিক (০.৫ শতাংশ) ও দিনমজুরেরা (০.৩ শতাংশ)। এসকল তথ্য ‘এইচআইভি সেরো সার্ভে অ্যামং টিউবারকিউলসিস পেশেন্টস ইন বাংলাদেশ- ২০১৯-২০২০’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়। 

নমুনা সংগ্রহকারীদের ৫৬ শতাংশ পুরুষ, ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ নারী ও শূন্য দশমিক ২ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গ। গবেষণার তথ্যমতে, দেশে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, যারা যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত, তাদের কেউ এইডসে আক্রান্ত হননি।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, "গবেষণায় এসেছে, শিক্ষিত লোকেরা যক্ষ্মায় কম আক্রান্ত। সচেতনতার কারণে এমনটা হতে পারে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত মায়ের এইডসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আছে। এসব ক্ষেত্রে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।"

সভাপতি নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক বায়জীদ খুরশিদ বলেন, "দেশে যক্ষ্মারোগের চিকিৎসার সাফল্য ভালো। তবে জনসংখ্যাবহুল রাষ্ট্রে যক্ষ্মাকে এখনো মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। তবে যক্ষ্মারোগীদের এইডসে সংক্রমণের হার কম, যা স্বস্তির বিষয়। যক্ষ্মারোগীদের এইডস হলে তা চিকিৎসায় সুস্থ করা কঠিন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি-ল্যাপস অপারেশন প্ল্যানের সৌজন্যে উক্ত গবেষণায় অর্থায়ন করেছে দ্য গ্লোবাল ফান্ড টু ফাইট এইডস, টিউবারকিউলসিস অ্যান্ড ম্যালেরিয়া।

Link copied!