• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২,

ঐশ্বরিয়া-সালমানের প্রেম ভাঙনের অজানা গল্প!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
ঐশ্বরিয়া-সালমানের প্রেম ভাঙনের অজানা গল্প!

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম–বিচ্ছেদগুলোর একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। পর্দার আড়ালেই শুরু হয়েছিল প্রেম, তবে আলোচনায় আসে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পরিণত হয় তিক্ত অভিজ্ঞতায়।

বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর, যিনি ঐশ্বরিয়ার পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সম্পর্কের উত্থান-পতন কাছ থেকে দেখেছেন।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা—এসব নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদ সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।

প্রহ্লাদের মতে, বিচ্ছেদের পর সবচেয়ে বড় আঘাত আসে বলিউড থেকেই। ঐশ্বরিয়া ভীষণ কষ্ট পেয়েছিল। বিচ্ছেদে যতটা নয়, বরং ইন্ডাস্ট্রির আচরণে বেশি আঘাত পেয়েছিল। পুরো ইন্ডাস্ট্রি যেন সালমানের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং ঐশ্বরিয়াকে একঘরে করে দিয়েছিল।

সেই সময়ের পর থেকে ঐশ্বরিয়া নাকি আর আগের মতো নিয়মিত কাজ করেননি। প্রহ্লাদের ভাষায়,

“ও আগে ভীষণ নিবেদিত ছিল। কিন্তু সেই ঘটনার পর থেকে বলিউডের প্রতি তার আস্থা ভেঙে যায়।”

সহ-অভিনেত্রী স্মিতা জয়কর জানিয়েছেন, ছবির সাফল্যের পেছনে ঐশ্বরিয়া–সালমানের প্রেম বড় ভূমিকা রেখেছিল। তবে শিবা চাড্ডার অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। তাঁর দাবি, সালমান শুটিং সেটে বহুবার রাগের মাথায় আচরণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, এমনকি ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যের শুটিং বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন।

আজকের ঐশ্বরিয়া রাই—একজন বিশ্বসুন্দরী, সফল অভিনেত্রী, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও এক সন্তানের মা। তবে প্রহ্লাদ মনে করেন, সম্পর্ক ভাঙনের মানসিক ক্ষত এখনো কোথাও না কোথাও থেকে গেছে। হয়তো সেই কারণেই তিনি আর আগের মতো নিয়মিত বড় পর্দায় আসেন না।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বিনোদন বিভাগের আরো খবর

Link copied!