• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৬

আহসানউল্লাহর অধীনে আর পরীক্ষা নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১, ০৬:২০ পিএম
আহসানউল্লাহর অধীনে আর পরীক্ষা নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

এবার বেসরকারি আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির অধীনে আর কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এছাড়াও গত শনিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত পাঁচ ব্যাংকের পরীক্ষার বিষয়ে আগামী রোববার (১৪ নভেম্বর) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। একটি পরীক্ষায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেন।

তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি। ডিবির প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এর আগে জড়িত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ পর্যন্ত চক্রটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবিপ্রধান) এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর থেকে বুধবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিশেষ অভিযানে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ওয়াহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় তেজগাঁও জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহদাত হোসেনের নেতৃতে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

তারা হলেন- প্রশ্ন ও উত্তর ফাঁসের মূলহোতা আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যায়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও পরীক্ষার্থী স্বপন।

পরে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নতুন করে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ডিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তারা হলেন- খোকন, সোহেল, জাহিদ। খোকন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, সোহেল ইতোমধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত। জাহিদ পরীক্ষার্থী সংগ্রহে এজেন্টের কাজ করতো। এদের সবাইকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে ডিবি। 

Link copied!