সন্তানের বাবা হওয়া মানে জীবনের পূর্ণতা পাওয়া। বাবা হিসেবে তৃপ্ত হওয়া সব পুরুষেরই স্বপ্ন থাকে। কিন্তু এই স্বপ্ন যদি শখে পরিণত হয়! মানে বাবা হওয়া যখন শখ হয় কিংবা এক বাবা যদি শতাধিক সন্তানের জন্ম দেয়, তখনই বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনে।
সেই দেশের অবসরপ্রাপ্ত অঙ্ক শিক্ষক ক্লাইভ জোন্স। তার অদ্ভুত শখ সন্তানের বাবা হওয়া। তবে স্বাভাবিক উপায়ে নয়, বরং শুক্রাণু দানের মাধ্যমে শতাধিক সন্তানের বাবা হয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি ১২৯ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৯ সন্তান। এভাবেই ১৫০ সন্তানের বাবা হওয়ার শখ এই শিক্ষকের।
দ্য ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানায়, ৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ জোনসের এখন ১২৯টি সন্তান। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সন্তানের বাবা হওয়ার খেতাব পেয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের শুক্রাণু দান করেন তিনি। ১২ বছর ধরে শুক্রাণু দান করছেন। আরও কয়েক বছর এই শখ পূরণ করতে চান তিনি।
সন্তানবিহীন পরিবারে ‘খুশি’ ছড়িয়ে দিতেই ফেসবুকের মাধ্যমে শুক্রাণু দান শুরু করেন বলে জানান ক্লাইভ।
ক্লাইভ বলেন, “শুক্রাণু দান চালিয়ে যেতে চাই। আমার ইচ্ছা ১৫০ জন সন্তানের বাবা হওয়ার। আমি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উর্বর শুক্রাণুদাতা।”
ক্লাইভ আরও বলেন, “অনেক ক্লিনিক ও শুক্রাণু ব্যবসায়ীরা দান করে না। বরং উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। আমি দান করি এবং সন্তানের পরিবারের খুশি দেখে আনন্দিত হই।”
ফেসবুকের মাধ্যমে শুক্রাণু দান করার বিষয়ে ক্লাইভ বলেন, “যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রাণু দানের সময়সীমা ৪৫ বছর পর্যন্ত। এর বেশি বয়সী কেউ শুক্রাণু ব্যাংকের মাধ্যমে শুক্রাণু দিতে পারবেন না। আমি ৫৮ বছর বয়স থেকে শুক্রাণু দান শুরু করি। তাই এই মাধ্যমকে বেছে নিয়েছি।”
এদিকে জোনসের শখের এই কাজে কড়াভাবে সতর্ক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দেশটির মানব নিষিক্তকরণ এবং ভ্রূণবিদ্যা কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী জোনসের এই কাজ অবৈধ। কারণ শুক্রাণু দাতাকে অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে হবে।