সমুদ্র সৈকত জলের রাশি। বালিমাখা মায়াবী ভূমি। যার রং আর রূপ হয় একেক রকম। কখনও লাল-হলুদের ছায়া, কখনও ঘন নীল, কখনও হয় স্বচ্ছ। যার সান্নিধ্যে গেলে মনে আসে চাঞ্চল্য। নিজেকে নতুন করে জাগাতে ইচ্ছে হয়। মনের চঞ্চলতা ফুটে উঠে ফ্যাশনেও। পোশাকের ধরণ যেমন পাল্টে যায়। তেমনই হাতে থাকে মানানসই ব্যাগ।
ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা জানান, সমুদ্রে ঘুরতে যেতে পোশাক যেমন আরামদায়ক হতে হয়, তেমনই জুতা আর ব্যাগ হতে হয় টেকসই। সেই সঙ্গে মানানসই আর ফ্যাশনের বিষয়টিও উপেক্ষা করা চলবে না।
ফ্যাশনেবল ব্যাগ হিসাবে হাতে রাখা যেতে পারে বেত কিংবা জুটব্যাগ। গোল, চৌকো, টোটে স্টাইল হতে পারে। ছোট, বড় ব্যাগ যেকোনও আকারের ব্যাগই মানিয়ে যাবে বেশ।
সমুদ্র পাড়ে সময় কাটাতে হাতব্যাগে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস। সানগ্লাস, সানস্ক্রিন, টুপি আর ছাতা। যা দিয়ে রোদের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাবে ত্বক আর চুল। তাই ব্যাগের আকার একটু বড় হলেও ক্ষতি নেই। স্টাইল স্টেটমেন্ট ঠিক থাকবে এমন ব্যাগই বাছাই করতে হবে।
ব্যাগ বাছাইয়ে চওড়া স্ট্র্যাপ নিতে পারেন। যা হবে আরামদায়ক এবং কাঁধে অতিরিক্ত চাপওা পড়বে না। সুতি কাপড়, ডেনিম, পাট, স্ট্র (খড়) কিংবা নাইলন নানা উপকরণের ব্যাগ থেকে বেছে নিতে পারেন উপযোগী ব্যাগটি।
সমুদ্রে পাড়ে যদি হালকা রঙের পোশাক পরতে চান তবে দিব্যি মানিয়ে যায় একটু বড়, খোলা বেতের ব্যাগ। চেন টেনে ব্যাগ খোলার ঝামেলাও এড়িয়ে যাওয়া যাবে। মাথায় বড় টুপি আর চোখে বড় সানগ্লাস পরলে আপনাকে বেশ লাগবে।
বোহেমিয়ান একটা লুক দিতে পারে সোনালি রঙের ব্যাগ। সোনালি রঙের মাঝারি অআকারের ব্যাগ দিয়ে নিজের লুককে আরও একটু ফ্যাশনেবল করে নিতে পারেন।
বড় প্রিন্টের এক্সোটিক নকশা, সমুদ্রের ছোঁয়ার ডোরাকাটা (নটিক্যাল স্ট্রাইপ), গ্রাফিকস কিংবা পুরাকালের চিত্রণও থাকতে পারে আপনার আধুনিক ব্যাগে।
‘বিচ ফ্যাশন’-এ বেশ জনপ্রিয় গোল বেতের ব্যাগ। তবে পলিয়েস্টারের প্রিন্টেড ব্যাগও নিতে পারেন স্বাচ্ছন্দ্যে। সমুদ্রের পানিতে ভিজে গেলেও থাকবে না কোনও ঝামেলা।
ওয়াটার প্রুফ হালকা ব্যাগ বেছে নিতে পারেন। ব্যাগ বেশি ভারী হলে বেশিক্ষণ ঘুরে বেড়ানো কষ্টকর। তবে শুধু ক্লাচ কিংবা পার্স নিয়েই সমুদ্র ভ্রমণে বের হবেন না। সারাক্ষণ হাতে ধরে রাখবে হবে। স্মার্ট আর কমফোর্ট লুকটাই ফিকে হয়ে যাবে। চেষ্টা করবেন, ক্যাজুয়ালি কাঁধে লম্বা স্লিং ব্যাগ নিতে। এতে বেশ ফ্যাশনেবল হয়ে উঠবেন আপনি।
আপনার মতামত লিখুন :