পবিত্র ঈদুল-আজহাকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার (১ জুন) থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। মূলত রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা জোরদার করা, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন তল্লাশি করা এবং পশুর হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শহরে বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানের শুরু করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে এবং ঈদ উপলক্ষে বাইরে থেকে আসা মানুষরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান ও পশুর হাটে মনিটরিং
শুধু চৌরাস্তা নয়, ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও এই অভিযান পরিচালিত হবে। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে জমে ওঠা পশুর হাটগুলোতেও সেনাবাহিনীর বিশেষ তল্লাশি অভিযান এবং মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। এর উদ্দেশ্য হলো, পশু ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই যেন নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করতে পারে। সেনাবাহিনীর প্রো-অ্যাক্টিভ টিম সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে যাচ্ছে, যা জেলার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও সুদৃঢ় করবে।
সেনাবাহিনীর এই বিশেষ তল্লাশি অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আরিফ হাসান নামে একজন বলেন, “এই তল্লাশি অভিযান অবশ্যই প্রশংসনীয়। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাকলে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ভালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে পারব।”
ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা আফজাল হোসেন বলেন, “আমি ঈদে পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে এসেছি। এই তল্লাশি অভিযান দেখে সত্যিই ভালো লেগেছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকলে ঈদে আমরা যারা বাড়ি ফিরছি, তারা অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে ঈদ করতে পারব এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক থাকবে।”
ঠাকুরগাঁও আর্মি ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বক্কর বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা তল্লাশি ও অভিযান চালাচ্ছি। আজকে থেকে শুরু হয়ে ১৪ জুন পর্যন্ত আমাদের এই অভিযান চলবে। আমরা মূলত রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের গাড়িগুলোকে তল্লাশি করে থাকি। এ ছাড়া বাজার মনিটরিং সিস্টেমও আমরা করে থাকব। ঈদে যেন মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পারে, সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই তল্লাশি অভিযান।”
সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপে ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ও নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি হয়েছে।