বৃষ্টির দিন মানেই কাঁদামাটি, স্যাঁতসেঁতে রাস্তা আর জলাবদ্ধতা। অফিস যাওয়া হোক বা বাজারে বের হওয়া সবখানেই বিপত্তি। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জমে যায় নোংরা পানি। আর সেই কাঁদা পানিতে চলাচল করে পায়ের ত্বক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি দেখা দেয় নানা ধরনের সংক্রমণ, চুলকানি বা দুর্গন্ধের সমস্যা। এই অবস্থায় প্রয়োজন পায়ের সঠিক যত্ন। কীভাবে সহজে ও ঘরোয়া উপায়ে কাঁদা পানিতে ভেজা পা পরিষ্কার ও সুস্থ রাখা যায়, চলুন জেনে৷ নেই।
কাঁদা পানিতে পা ভেজার স্বাস্থ্য ঝুঁকি
বর্ষায় কাঁদা পানিতে পা ভিজে থাকলে তা অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। পা ভেজা থাকলে ছত্রাকের বংশবিস্তার সহজ হয়। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকে ঘা, চুলকানি বা দুর্গন্ধ হয়।
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়। খোলা ক্ষত বা আঁচড় থাকলে কাঁদা পানির জীবাণু প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
পায়ের ত্বক রুক্ষ বা পচে যেতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ভেজা থাকলে ত্বক সাদা হয়ে নরম হয়ে যায়, এতে ফাটার সম্ভাবনা বাড়ে।
স্যাঁতসেঁতে জুতায় ঘাম ও কাঁদা মিশে গিয়ে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
কীভাবে যত্ন নেবেন?
বাইরে থেকে এসে পা ধুয়ে নিন
কাঁদা পানিতে ভেজা পা প্রথমেই হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন। অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইড (যেমন: স্যাভলন বা ডেটল) মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখলে জীবাণু দূর হয়। তারপর ভালোভাবে মুছে নিন।
পা শুকনো রাখা খুব জরুরি
পা পরিষ্কার করার পর তোয়ালে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। আঙুলের ফাঁকে যেন কোনোভাবেই পানি না জমে থাকে।
অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন
বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার (যেমন: ক্যানডিড, ডার্মোফিট) ছিটিয়ে দিন। এটি ঘাম কমায়, দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করে এবং ছত্রাকের হাত থেকে রক্ষা করে।
সঠিক জুতা ব্যবহার করুন
পানি প্রতিরোধক জুতা (রাবারের গামবুট, ক্রকস বা ওয়াটারপ্রুফ স্যান্ডেল) ব্যবহার করুন। কাপড়ের জুতা একদম এড়িয়ে চলুন।
পায়ের যত্নে নিয়মিত পেডিকিউর করুন
সপ্তাহে একদিন পায়ের ত্বক পরিষ্কার ও মসৃণ রাখার জন্য পেডিকিউর করতে পারেন। হালকা স্ক্রাব দিয়ে মরা চামড়া তুলে ফেলুন, এতে ত্বক মসৃণ থাকবে।
ঘরোয়া উপায়ে পায়ের যত্ন বা ডি-টক্স বাথ
হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ লবণ, অল্প লেবুর রস, ২ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি জীবাণু দূর করে, দুর্গন্ধ কমায় এবং পায়ের ত্বক নরম রাখে।