• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বয়সের ব্যবধান বেশি হলে কেন দাম্পত্য সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৩, ০১:৫০ পিএম
বয়সের ব্যবধান বেশি হলে কেন দাম্পত্য সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান বেশি হলে অনেকেই নেতিবাচকভাবে দেখেন। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দাম্পত্যে বয়সের ব্যবধান যত বেশি হবে, সেই সম্পর্ক তত বেশি দীর্ঘস্থায়ী ও মধুর হবে। অন্যদিকে সমবয়সী বা স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের চেয়ে বয়সে ছোট-বড় হলে তাদের মধ্যে মতের অমিলসহ দাম্পত্যে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বয়সের বেশি ব্যবধান দাম্পত্য সম্পর্ককে যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী করে-

সঙ্গীকে গুরুত্ব দেয়
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বাড়ে। ফলে জীবন নিয়েও গোছানো হয় তারা। ফলে সংসারে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় না। অন্যদিকে সমবয়সী দম্পতিরা জীবন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন সতর্ক থাকেন না। সবার ক্ষেত্রে অবশ্য এটি সমান নয়। তারা উভয়ই বর্তমানের আনন্দে মজে থাকতে চান। অন্যদিকে স্বামী বা স্ত্রী যদি বেশি বয়সী হন সেক্ষেত্রে দাম্পত্য সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় থাকে। সেক্ষেত্রে একজন আরেকজনকে গুরুত্ব দেন ও দাম্পত্যে সম্মানও বজায় থাকে।

সঙ্গীর কী প্রয়োজন তা জানে
বয়স্ক নারী বা পুরুষ ঠিকই জানেন তার চেয়ে বয়সে ছোট সঙ্গীর কী প্রয়োজন। মানুষের একেক বয়সে একেক ধরনের ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকে। এ বিষয়টি যদি অপরজন বুঝতে পারেন ও উৎসাহ দেন তাহলে সম্পর্কে শান্তি বজায় থাকে। এক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তিরা তার সঙ্গীর প্রয়োজন অনুসারে পদক্ষেপ নেন ও তাকে বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন।

সম্পর্ক একঘেয়েমি 
দম্পতিদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান তাদের জন্য পরিপূরক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। যদিও বয়স্করা প্রজ্ঞা প্রদান করে, ছোটরা শক্তির উত্স হিসেবে কাজ করেন। এক্ষেত্রে সম্পর্কের মধ্যে একটি বিশেষ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ততা আসে। ফলে সম্পর্কে কেউই একঘেয়েমি বোধ করেন না।

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা
বেশি বয়সের ব্যবধান আছে এমন দম্পতিরা সামাজিক অস্বীকৃতি বা পরিবার ও সহকর্মীদের কাছ থেকে সমর্থনের অভাবসহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। ফলে অন্যদের কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করতে তারা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আরও সচেষ্ট হন।

Link copied!