• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

মানুষ কেন ভালোবাসে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৪:৪০ পিএম
মানুষ কেন ভালোবাসে?

ভালোবাসা চিরন্তন। এই ব্যাপারটি কেন বা কিভাবে সৃষ্টি, সেটি জানার কৌতূহল মানুষের মধ্যে খুব একটা দেখা না গেলেও এর পেছনে রয়েছে স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাখ্যা। বিজ্ঞানের ভাষায়, প্রেম বা ভালোবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা। এর জন্য একাধারে কাজ করে আমাদের জিন এবং হরমোন। প্রেমের প্রথম দিকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গগুলো দেখা যায়। 

বিজ্ঞানীদের মতে, সেসবের পেছনে কার্যকরী হলো ডোপামিন, সেরোটোনিন, নরপিন এফ্রিন হরমোন। এছাড়াও সম্পূর্ণ ঘটনায় আরও কিছু হরমোন জড়িত থাকে।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভালোবাসা শুধু দুটি মনের বন্ধনই নয়। এর ফলে দুটি মনেরই পরিবর্তন ঘটে। আর এই পরিবর্তনে আছে যৌক্তিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। যখন কারো অন্য কাউকে ভালোলাগে তখন মস্তিষ্কে রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ হয়। ফলে ব্যক্তির মনে সৃষ্টি হয় সুখানুভূতির।

বিশিষ্ট এনথ্রোপলজিস্ট হেলেন ফিশারের মতে, এই ধরনের ঘটনা (নিউরোট্রান্সমিটার রিলিজ) পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি বেশি হয়। পুরুষদের ভিজুয়াল ন্যাচারের কারণে। একজন ব্যক্তি অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে তার মস্তিষ্ক মোট চার মিনিট ৯০ সেকেন্ড সময় নেয়। গবেষকরা এটাও দেখেছেন, মানুষের মস্তিষ্ক প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির কিছু বিষয় বিবেচনা করে। তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ হলো তার অঙ্গভঙ্গি বা বাহ্যিক রূপ, ৩৮ শতাংশ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার ভঙ্গি এবং মাত্র ৭ শতাংশ তাদের মূল বক্তব্য শোনে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদে আলাদা হরমোন কেও ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।

নরপিন এফ্রিন
প্রেমে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নরপিন এফ্রিন নিঃসরণ করি। ফলে প্রিয় মানুষটিকে দেখলে বা তার সঙ্গে কথা বলার সময় ঘাম ঝরে, হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায় ও গলা শুকিয়ে আসে।

ডোপামিন
ডোপামিন সুখানুভব তৈরি করে। সদ্য প্রেমে পড়া ছেলেমেয়েদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, ভালোবাসার উত্তেজনার ফলে তাদের মধ্যে উচ্চমানের ডোপামিন নিঃসরণ হয়েছে। এই রাসায়নিক পদার্থটি ব্যক্তির মধ্যে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। এক ফোঁটা কেকেন মস্তিষ্কে যে পরিমাণ উত্তেজনা সৃষ্টি করে, ডোপামিনও এর ব্যতিক্রম নয়। ডোপামিনের নিঃসরণ বেশি হলে শক্তি বাড়ে, ঘুম ও খাওয়ার চাহিদা কমে যায় ও মনযোগ বাড়ে।

সেরোটোনিন
ডোপামিন এবং নরপিন এফ্রিন এক সাথে ককটেল এর মতো কাজ করে। মানে বিস্ফোরক যেমন কাজ করে। আর সেরোটোনিন ফোকাসিং বা মনোযোগ ধরে রাখার সাথে জড়িত বলে বিবেচনা করা হয়।

 

 

 

Link copied!