• ঢাকা
  • রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ মুহররম ১৪৪৬

কখন বুঝবেন সম্পর্ক নিয়ে ভাবার সময় এসেছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
কখন বুঝবেন সম্পর্ক নিয়ে ভাবার সময় এসেছে
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

ভালোবেসে একে অপরে সম্পর্ক তৈরি করে। সম্পর্কের সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো, দুজনে দুজনের কাছে আসার জন্য ব্যাকুলতা। যেকোনো অজুহাতেই একসঙ্গে সময় কাটাতে চান। তবে অনেক সময় আছে এই মধুর সম্পর্কও ভেঙে যায়। আগে যা কিছু করার পরিকল্পনা থাকতো দুজন মিলে এখন আর একসঙ্গে করার কথা মন থেকে আসে না। তার মানে বদলে গেছে আপনার মনের ভাব।

তখন সম্পর্কে চলে আসে তিক্ততা। এ অবস্থায় সম্পর্কটা টেনে হিঁচড়ে আর না আগানোই ভালো। এতে দুজন আলাদা হয়েও সুখে থাকা সম্ভব। যদিও সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কষ্ট অনেক। তাই কীভাবে বুঝবেন এই সম্পর্ক থেকে কখন বেরিয়ে যাওয়াই এক মাত্র পথ? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. যেকোনো সম্পর্কেই মানিয়ে চলার বা মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। সব সময় যে তা পরিমাণে দুপক্ষেই সমান হয়, তা হয়তো নয়—তবে নিজেদের মতো করে সমঝোতার একটা ভারসাম্য থাকলে সম্পর্ক সুন্দর গতিতে এগোয়। কিন্তু এইটা না হয়ে যদি সবসময় একজনকেই মানিয়ে নিতে হয় তখন এ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই ভাল। নয়ত একজনকেই মানসিক চাপে থাকতে হয়। তখন আর সুস্থ সম্পর্ক থাকে না।

২. যদি কেউ কোনো সম্পর্কে থাকাকালীন মানসিক বা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন, দ্বিতীয়বার না ভেবে বেরিয়ে আসুন। এতে হয়তো সম্পর্ক ভাঙার কষ্ট পাবেন, কিন্তু ভালো থাকবেন।

৩. সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দকেও শ্রদ্ধা করতে হয়। মিলিয়ে নিতে হয় দুজনের পছন্দ। এক না হোক, অন্তত সেগুলোতে যেন বিরোধ না হয়। যদি তা–ই হয়, তাহলে ঠিকঠাক চলছে না আপনাদের যৌথ যাত্রা।

৪. বিশ্বাসই যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তিপ্রস্তর। কিন্তু যদি সেই মূল বিষয়টিতেই কখনো গোলমাল দেখা যায়, ফাটল ধরে ভিত্তিপ্রস্তরে তখন সেই সম্পর্ক নিয়ে ভাবা উচিত। বিশ্বাস না করা যায়, তবে একবার ভেবে দেখা জরুরি, সম্পর্কের গ্রাফটা আদতে কোনদিকে যাচ্ছে?

৫. ভালোবাসার ঠিক বিপরীত হলো নিরুত্তাপ থাকা। যদি সঙ্গীর ভালো-মন্দের ওঠা নামা বা দৈনন্দিন যাপন আপনার মনে কোনো রকম দাগ না কাটে তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কের কোথাও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনও হতে পারে আপনি যে কথাগুলো বলতে চাইছেন, শুনতে চাইছেন তা আপনার সঙ্গী কিছুতেই আর বুঝতে পারছেন না। যদি উল্টোটাও সত্যি হয়, তা হলে বুঝতে হবে বিচ্ছেদের সময় হয়তো এসে গিয়েছে।

৬. খুনসুটি, ঝগড়াঝাঁটি প্রায় সব ধরনের মানব সম্পর্ক– বিশেষত ভালোবাসার সম্পর্কে তো প্রায় নিয়মিত ঘটনা। যদি এমন হয় ঝগড়াঝাটির পর আপনাদের কথাবার্তা একদমই বন্ধ হওয়ার জোগাড়, কাজের কথার বাইরে একদম কথাই হচ্ছে না, তার মানে সম্পর্কটা আর স্বাস্থ্যকর নেই। কিংবা যখনই কথাবার্তা হচ্ছে, চিল্লাচিল্লি–রাগারাগি হচ্ছে, সেটাও আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারে ভালো কোনো বার্তা দেয় না। তখনই সম্পর্ক নিয়ে ভাবুন।

৭. যদি দেখেন সম্পর্ক ধরে রাখতে নিজের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে হচ্ছে, তবে সেই সম্পর্কের থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আদতে নিজের কাছে প্রতিনিয়ত মিথ্যে কথা বলে চলার সামিল।

সর্বোপরি সম্পর্কে ভালোবাসা থাকা জরুরি। যদি এতে ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে সেই সম্পর্ক আর এমনেতেই এগুবে না। 

Link copied!