আজকাল প্রেমের বিয়েই বেশিরভাগ হচ্ছে। তবে পারিবারিকভাবে বিয়েও অহরহ হচ্ছে। হয়তো দুই-একবার দেখা, পরিবারের সবার মতামত নিয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যাওয়া। তবে সারা জীবনের জন্য একজন সঙ্গী জুড়ে নিচ্ছেন, তার সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নেওয়াটা উচিত। এতে বিয়ের পরের জীবন তুলনামূলক সহজ হয়। বিয়ের আগে পাত্র বা পাত্রীর কাছ থেকে জেনে নিন কিছু বিষয়-
প্রাক্তনের প্রতি দুর্বলতা
যদি পূর্বের কোনো সম্পর্ক থেকে থাকে সেটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। তাই তার কাছ থেকে খুব ভদ্রভাবে জেনে নিতে পারেন যে তার কোনো প্রাক্তন আছে কি না। যদি থেকে থাকে তাহলে তার প্রতি এখনও কোনো দুর্বলতা আছে কি না। যদি এখনও সে প্রাক্তনকে ভুলতে না পারে তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বিয়ের পরেও। তাই আগেভাগেই জেনে নিন। এতে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
আপনাকে পছন্দ হয়েছে কি না
আপনাকে তার পছন্দ হয়েছে কি না সে সম্পর্কে জেনে নিন। যদি সরাসরি প্রশ্ন না করতে পারেন তবে বোঝার চেষ্টা করুন। তার আচরণের দিকে একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে আপনাকে তার আদৌ পছন্দ কি না। যদি পছন্দ না হয়ে থাকে তবে এই সমস্যা বিয়ের পরে আরও বাড়তে থাকবে। তখন সুখী হওয়া কঠিন হয়ে উঠবে। তাই আগেভাগেই বোঝার চেষ্টা করুন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।
জোর করে বিয়ে
অনেক সময় এরকমও হয়,পাত্র-পাত্রী রাজি না থাকলেও জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। হয়তো পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু বলতেও পারে না, কিন্তু বিয়ের পরে নিজেকেও মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে অশান্তির মুখে পড়ে দু’টি জীবন। তখন সুখে সংসার করা হয়ে ওঠে না। তাই ভালো করে জেনে নিন যে এই বিয়েতে পাত্রীর মত রয়েছে না কি জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিয়েতে সে রাজি কি না
পাত্রির কাছ থেকে জানতে চান, বিয়েতে সে রাজি কি না বা আপনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে তার কোনো সমস্যা হবে কি না। কারণ সে তার পরিচিত সবকিছু ছেড়ে আপনার কাছে আসবে, তাকে একটি সুস্থ পরিবেশ দেওয়া আপনার দায়িত্ব। তাই এসব বিষয়ে আগেভাগে কথা বলে নিন। এতে বিয়ে পরবর্তী জীবন সহজ হবে।
আর্থিক চাহিদা
সবার স্বপ্ন বা আকাঙ্ক্ষা একইরকম নয়। অনেকের চাহিদা থাকে স্বামীর কাছ থেকে অনেককিছু পাওয়ার। বিয়ের পরে কোনো কারণে তা না পেলে তখন বাড়ে সমস্যা। তাই আপনার আর্থিক সংগতি-অসংগতির কথা তাকে আগেই জানিয়ে দিন। এতে আপনার সামর্থ্য সম্পর্কে সে আগেই বুঝতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :