• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশুর পোশাকে একুশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম
শিশুর পোশাকে একুশ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ আসলেই ভুলতে পারার মতো বা মুছে যাওয়ার মতো কোনো দিন নয় এ একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি। বাংলা ভাষাকে মায়ের ভাষা রূপে পাওয়ার দিন এটি। তাই তো বাঙালি জীবনে অনেক বড় পাওয়ার একটি দিন এ একুশে ফেব্রুয়ারি। আর এ পাওয়ার দিনটিকে বাঙালি তাই নানা আয়োজনের সঙ্গে পালন করে থাকে। অন্যদিকে একুশে ফেব্রুয়ারি মানেই সাদা আর কালো রঙের এক মেলবন্ধন।

তাই নানা ধরনের পোশাকের মাঝে দেখা মিলে এ দুই রঙের। তবে বড়দের পাশাপাশি ছোটদের ক্ষেত্রেও সাজ পোশাকের ভিন্নতা দেখা যায় এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে। তাই ছেলেদের পোশাকের মাঝে চোখে পড়ে পাঞ্জাবি, পায়জামা, ফতুয়া, টি-শার্ট কিংবা শার্ট। এসব পোশাকে সাদা আর কালো রঙের কারুকাজ যেমন থাকে তেমনি সাদা অথবা কালো জমিনে সাদা বা কালো রঙের অক্ষরের এলোমেলো ছড়িয়ে থাকা চোখে পড়ে।

অন্যদিকে কখনও কখনও শিশুদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে শুধু সাদা অথবা কালো রঙও বেছে নেয়া হয়। এছাড়া টি-শার্ট অথবা শার্টের ক্ষেত্রে সাদা-কালোর নানা কারুকাজ অথবা শহীদ মিনারের প্রতিচ্ছবি চোখে পড়ে। এছাড়া মেয়েদের পোশাকের বেলাতে আসে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, টপস, টি-শার্টসহ আরও অনেক ধরনের পোশাক। এসব পোশাকের মাঝে একুশের সাজে শিশুদের শাড়িতেই চোখে পড়ে বেশি।

ছোট ছোট হাতভর্তি সাদা অথবা কালো রঙের চুড়ি আর পরনে সাদা আর কালো রঙের শাড়িতে সেজে ওঠে শিশুরা। কিছু কিছু শাড়িতে অক্ষরের মেলার দেখা মিলে। সাদা শাড়ির জমিনে কালো কালো অক্ষর এক অন্যরূপ সৃষ্টি করে।

অন্যদিকে শাড়ির পাশাপাশি সালোয়ার কামিজের ক্ষেত্রেও শিশুদের কথা মাথায় রেখে আনা হয়েছে ভিন্নতা। সাদা-কালোর জমিনে নানা কারুকাজে এসব সালোয়ার কামিজে মেতে ওঠে শিশুরা। এসব সালোয়ার কামিজ যেমন লং হয়ে থাকে আবার শর্ট কিংবা হাতা কাটা অথবা ঘটি হাতায় ফিতার কারুকাজে চোখে পড়ে।

এছাড়া টপস কিংবা টি-শার্টের মাঝেও সাদা আর কালো রঙের ভিন্নতার আমেজ চোখে পড়ে। অন্যদিকে রঙের পাশাপাশি কাপড় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও শিশুদের কথা মাথায় রেখে সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দেয়া হয় এ সময়ে।

গরমের এ শুরুতে শিশু সুতি কাপড়ে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ঘুরতে পারে তেমনি সুতি কাপড় সহজেই ঘাম শোষণ করে নিতে পারে। তাই শিশুদের কথা মাথায় রেখে রং এবং কাপড় এই দুই বিষয়ে খেয়াল রাখা হয় এ সময়ে।

তাই শাড়ি হোক কিংবা ওয়েস্টার্ন, এভাবেই ভাষার মাসের এ দিনটি শিশুর জন্য সাজিয়ে তোলা হয়। নানা ধরনের নকশা আর কারুকাজের সঙ্গে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় মায়ের ভাষা প্রাপ্তির এ দিনটির সঙ্গে।

শাড়ির দাম পড়বে ১৫০০ থেকে শুরু করে ৩৫০০ টাকার মধ্যে, সালোয়ার কামিজের দাম ২২০০ থেকে শুরু করে ৫৫০০ টাকার মধ্যে, পাঞ্জাবির দাম পড়বে ১৮০০ থেকে শুরু করে ৪৫০০ টাকার মধ্যে আর টি-শার্ট কিংবা শার্টের দাম পড়বে ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।

 

Link copied!