• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

‘নিজের গর্ভফুল‍‍’ খেয়েছেন যারা!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ০৫:২০ পিএম
‘নিজের গর্ভফুল‍‍’ খেয়েছেন যারা!

সুন্দরী হতে কেনা চায়। যৌবন ধরে রাখার প্রতিযোগিতা ছিল সেই প্রাচীন যুগ থেকেই। যত দিন গিয়েছে নারীরা সৌন্দর্য ধরে রাখতে আরও বেশি সচেতন হয়েছে। এমনকি সৌন্দর্যের বিশেষত্ব পেতে কত বিচিত্র কাজই না করেছেন। কেউ বারবার সার্জারির সংস্পর্শে এসেছেন, কেউ আবার অলৌকিকভাবে সৌন্দর্য ধরে রাখতে সিরিয়াল কিলারও হয়েছেন।

কথিত রয়েছে, যৌবন ধরে রাখতে ৬০০ কুমারীর রক্ত পান করেছেন  ‘ব্লাড কাউন্টেস’ বা ‘কাউন্টেস ড্রাকুলা’ নামে পরিচিত এলিজাবেথ ব্যাথরি। ছোট বাচ্চাদের ধরে তাদের কলিজা, রক্ত খেয়ে ফেলতেন। রক্ত দিয়ে গোসল করতেন। তার বিশ্বাস ছিল এই কাজে বিশ্বের সেরা সুন্দরী নারী হতে পারবেন। এমন অদ্ভূত কর্মকাণ্ড ছিল বিষ্ময়কর। তবে এখানেই শেষ নয়। সুন্দরী হতে এমন অদ্ভূত কাণ্ড করেছেন একবিংশ শতাব্দির নারীরাও। বিশেষ করে সেলিব্রেটিরা সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য যেকোনও উপায় খুঁজে বের করেন।

সৌন্দর্য ধরে রাখার সেই উপায় বের করেছেন বেশ কজন সেলিব্রেটি। তাদের বিশ্বাস, সন্তান জন্মের পর নিজের গর্ভফুল খেয়ে ফেললেই ফিরে আসবে যৌবন। হওয়া যাবে সেরা সুন্দরী। কাটবে শরীরের নানা জটিলতা।

সাধারণত বণ্য প্রাণিরা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শক্তি ফিরে পেতে নিজেদের গর্ভফুল খায়। এতে তাদের শরীরের সব জটিলতা কেটে যায়। সেই ধারণাকে ধারণ করেই এখনকার সময়ের অধিকাংশ নারী সেই পথেই হাটছেন। নিজেদের গর্ভফুল নিজেরাই খাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, এটি খাওয়ার পর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জটিলতা কমছে। প্রসব পরবর্তী অনিদ্রা, বিষন্নতা কাটাতে এবং সন্তানের খাবার মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে এটি বিশেষ কাজ করে।

প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল কীভাবে খাওয়া হয়? ব্রাইট সাইট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, শিশু জন্মের পর প্লাসেন্টাকে সংগ্রহ করে রাখা হয়। এটি ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়া করে ছোট ক্যাপসুলে ভরে নেওয়া হয়। সেই ক্যাপসুল খেয়েই সৌন্দর্য ধরে রাখার চেষ্টা করেন তারা। অনেকে আবার গর্ভফুল দিয়ে স্মুদি বানিয়েও খান। এটি তারা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই খেতে পারেন বলেও জানান।

নিজের গর্ভফুল খেয়ে সৌন্দর্য্য ধরে রাখার প্রতিযোগিতায় কয়েকজন সেলিব্রেটিও রয়েছেন। হলিউড অভিনেত্রী  কোর্টনি কার্দাশিয়ান ৪৩ বছর বয়সে ৩ সন্তানের মা হয়েছেন। শেষবার মা হওযার পরই নিজের গর্ভফুল খেয়েছেন। শুধু তাই নয়, গর্ভফুল খাওয়ার অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারও করেছেন। কোর্টনি লিখেন, “আমার প্ল্যাসেন্টা বড়ি আমার জীবন পরিবর্তনকারী!’

২০১১ সালে ছেলে জন্ম দেন ৪৪ বছর বয়সী জানুয়ারি জোন্স।এরপর বেশিদিন বিরতি না নিয়েই জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ম্যাড মেন-এর শুটিংয়ে ফিরেন। জোন্স জানান, নিজের গর্ভফুল খেয়ে তিনি দ্রুত কাজে ফেরার শক্তি পান।

হলিউড অভিনেত্রী অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোনও পুত্র সন্তানের মা হন ওই বছর। তিনিও নিজের গর্ভফুল খেয়ে ৪৫ বছরেও ফিট রয়েছেন বলে দাবি করেন। এমনকি এটি তার জন্য় ‘সুখী বড়ি’ বলে জানান।

তিন সন্তানের জননী অভিনেত্রী ক্যাথরিন হেইগল। ৪৩ বছর বয়সে তিন সন্তানের মা তিনি। যদিও দুইটি সন্তান দত্তক নিয়েছেন। আর একটি সন্তান নিজের গর্ভের। ওই সন্তান জন্মের পর নিজের গর্ভফুল দিয়ে ক্যাপসুল বানাতে একটি কোম্পানিকে দেন। পরে সেই ক্যাপসুল তিনি নিয়মিত খেয়েছেন এবং ফিট রয়েছেন বলে দাবি করেন।

শুধু তাই নয়, নিজের গর্ভফুল দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেয়েছেন তারকা দম্পতি ম্যাথিউ ম্যাককনাঘি ও ক্যামিলা আলভেস। তবে একটু ভিন্ন উপায়ে তারা গর্ভফুলের ব্যবহার করেন। বাড়িতে আম গাছ লাগিয়ে তাতে নিজের গর্ভফুল দিয়েছেন। সেই গাছে আম হয়। যা দিয়ে তারা স্মুদি বানিয়ে খেয়েছেন। সৌন্দর্য ধরে রাখতে এই দম্পতি নিয়মিত এই স্মুদি পান করেন বলেও জানান।

Link copied!