• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দাম বাড়ছে, রমজানের আগেই খাবার সংরক্ষণের প্রস্তুতি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
দাম বাড়ছে, রমজানের আগেই খাবার সংরক্ষণের প্রস্তুতি

কদিন পরই রমজান মাসের শুরু। পবিত্র এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে রোজা রাখবেন। সাহরি খেয়ে নিয়ত করে রোজা রাখবেন। সন্ধ্যায় আযান হলে দোয়া পড়ে ইফতার করবেন। এই  পুরু সময়টাতে আল্লাহর ধ্যানে মশগুল থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

রমজান মাসে দৈনন্দিন কাজও বেড়ে যায়। ইফতার আর সাহরির প্রস্তুতি করতে হয়। এই মাসে নানা খাবারের আয়োজন করা হয়। দিনভর রোজা রেখে মুখরোচক খাবার দিয়ে ইফতার করেন। তাই রমজান মাসের জন্য কিছু প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে। ওই সময় রোজা রেখে খুব বেশি পরিশ্রম করা যায় না। রান্নার কাজকে সহজ করার জন্য তাই কিছু কিছু জিনিস আগেই সংরক্ষণ করে রাখুন। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়ছে। তাই রমজানের আগেই খাবারের সামগ্রী কীভাবে বেশি সময় সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন তা জেনে নিন।

  • রমজানে ঘরে ইফতার বানানো হয়। ইফতারের প্রধান উপাদান হচ্ছে বেসন। বাজারের কেনা বেসন স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার এই সময় বেসনের দামও বেশি থাকে। তাই রমজানের আগেই বেসন বানিয়ে রাখতে পারেন। পোলাও চাল, আর কয়েক পদের ডাল মিলিয়ে বেসন বানিয়ে রাখুন। বিভিন্ন দোকানে বেসন ভাঙানো যায়। বাড়ির আশপাশে এমন জায়গা থাকলে সেখান থেকেও বেসন বানিয়ে আনতে পারেন। এতে অল্প টাকায় বেশি পরিমাণে বেসন পাওয়া যাবে।
  • ইফতারে প্রায় প্রতিদিনই ছোলা খাওয়া হয়। ছোলা আগেই সেদ্ধ করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। রাতে বেশি পরিমাণে ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন তা ধুয়ে সেদ্ধ দিন। দ্রুত সিদ্ধ হতে সামান্য পরিমানে বেকিং সোডা দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে ছোলা ঠাণ্ডা করে বক্সে ভরুন। এবার এটি ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
  • রমজানে অনেক পদের রান্না হয়। প্রায় রান্নাতেই আদা এবং রসুন বাটা লাগে। এগুলো বেশি করে কিনে নিতে পারেন এখনই। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে কেটে নিতে পারে। কাটা অবস্থায় আদা, রসুন বক্সে করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। রান্নার আগে শুধু বের করে ব্লেন্ড করে নিবেন। আবার চাইলে এখনই ব্লেন্ড করে একেবারে স্টোর করে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদা বা রসুন বাটা ফ্রিজে রাখার আগে এর সঙ্গে সামান্য পরিমানে সরষে তেল ও বেশি পরিমানে লবন মিশিয়ে রাখুন। এতে ফ্রিজে রাখলেও এর রং ও স্বাদ নষ্ট হবে না।
  • রমজান মাসে তীব্র গরম থাকে। এই সময় লেবুর শরবত প্রতিদিন ইফতারে থাকতেই হয়। একদিন বেশি করে লেবু কিনে রাখতে পারেন। বেশি পরিমানে লেবু কিনে একটি করে কাগজে পেচিয়ে রাখলে ভালো থাকবে। কাগজে পেচানো লেবু একটি পলিব্যাগে বেধে ফ্রিজে রাখুন। লেবু হলুদ হবে না। স্বাদও টাটকা থাকবে বহুদিন।
  • রমজানে আলু কিংবা মাংসের চপ, মমো খাওয়া হয়। এগুলো আগেই বানিয়ে ফ্রিজে স্টোর করতে পারেন। চপ বানাতে পেয়াজের বেরেস্তা করে নিন। এগুলো একটি ট্রেতে বিছিয়ে ডিপ ফ্রিজে শক্ত করে নিন। এরপর বক্সে ভরে সংরক্ষণ করুন।
  • চিনি আর লবণের প্যাকেট কিনে রাখুন। রমজানের বাজারে এসব পণ্যের দাম চড়াও থাকে। তাই যখনই দাম কম হবে কিছু প্যাকেট সংরক্ষণ করে রাখুন। এছাড়াও চিনি কৌটায় সংরক্ষণ করতে চাইলে কয়েকটি এলাচ ও লবঙ্গ দিন। এতে চিনিতে ভিজে যাবে না।
  • তেলজাতীয় খাবার রমজানে বেশি খাওয়া হয়। যদিও তেলের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবুও এই সময় তেলের ব্যবহারই বেশি হয়। বাজারে কিংবা অনলাইনে তেলের লিটারে অফার দেখুন। যেখানে কম পাবেন সেখান থেকে বেশকিছু লিটার তেল সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন রমাজানের জন্য।
Link copied!