• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

কিস ডে‍‍তে চুম্বন, চাঙা করবে মনপ্রাণ!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০২:১০ পিএম
কিস ডে‍‍তে চুম্বন, চাঙা করবে মনপ্রাণ!

ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে ১৩ ফেব্রুয়ারি আরও একটি বিশেষ দিন। দিনটি হচ্ছে ‘কিস ডে’। ভালোবাসার জন্যই উৎসর্গ এই দিনটিও। ভ্যালেনটাইন্স ডের আগে এই দিনটি বেশ স্পেশাল। কারণ প্রিয়জনের কাছে ভালোবাসা প্রকাশে আরও একটি মাধ্যম এটি।

দিনটি ভালোবাসার যুগলদের কাছে খুবই স্পেশাল। একে অপরের প্রতি ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি, সম্পর্ক মধুর করার জন্যে দিনটি বেষ উপভোগ্য। এ ছাড়া অনেকের কাছেই প্রেম প্রকাশের ভাষা খুঁজে পায় না। তাদের জন্য় সহজভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে একটি আলতো চুমুই যথেষ্ট।

কিস ডে কবে থেকে শুরু তার ঐতিহাসিক কোনো প্রামান্য নথি নেই। তবে এটি হালের ট্রেন্ড বলেই  উদযাপন করা হচ্ছে। মূলত দিনটি বিশ শতকের শুরু থেকেই বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

সম্পর্ক অনুযায়ী চুম্বনের ধরণও ভিন্ন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিবাহবন্ধনের পর প্রিয়জনকে চুম্বন করার রীতিও রয়েছে । আবার গভীর আবেগের প্রকাশ করতে প্রেমিক-প্রেমিকার ফ্রেঞ্চ কিসও জনপ্রিয়। পাশাপাশি কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা প্রকাশ পায় কপালে চুম্বন করলে। এছাড়াও সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা কিংবা বাবা-মাকে ভালোবাসা প্রকাশ করতে এবং সম্পর্কের সুরক্ষা ও ভরসার সংকেতও হতে পারে চুম্বন।

এদিকে সম্পর্ক মধুর করা ছাড়াও চুম্বনের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত উপকারও রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, চুম্বন উদ্বেগ কমাতে কার্যকর। চুম্বনের সময় মস্তিষ্কের কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমে। তাই মানসিক অশান্তি থেকে প্রিয়জনকে রিলাক্স করতে চুম্বন হতে পারে সহজ উপায়।

চুম্বনে মনও ভালো হয়। চুম্বনের সময় পরস্পরের শরীরে একগুচ্ছ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। অক্সিটোসিন, ডোপামাইন আর সেরোটোনিন নামের এসব হরমোন মনকে চাঙা করে দেয়। এছাড়াও চুম্বনে হৃদস্পন্দন বেড়ে শরীরের শিরা আর ধমনীগুলো প্রসারিত হয়। যা রক্তচাপও কমায়।

চুম্বনকে ব্যায়াম বলেও প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। তাদের মতে, চুম্বনের সময় মুখের ৩০টি পেশি সচল হয়। এমনকি প্রতি মিনিটে ২৬ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ হয়। তাই চুম্বন শারীরিক স্বাস্থ্যও ঠিক রাখে। আর নিয়মিত চুম্বনে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো হয়। মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়লে কোলাজেন উৎপাদন বেশি হয়। ত্বক প্রাণবন্ত হয়ে উঠে আর বয়সের ছাপও দূর হয়।

 

সূত্র: হেলথলাইন

Link copied!