• ঢাকা
  • সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৬ সফর ১৪৪৬

কীভাবে এলো হাওয়াই মিঠাই


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০৭:২০ পিএম
কীভাবে এলো হাওয়াই মিঠাই

হাওয়াই মিঠাই দেখলেই মনে পড়ে শৈশবের স্মৃতি। মেলায় গেলেই দেখা যেত গোলাপি কিংবা সাদা রঙের হাওয়াই মিঠাই। দেখতে ফোলানো ফাপা হলেও হাতে নিলেই চুপসে যেত। ছোটদের তো প্রিয় ছিলই, বড়দেরও কম পছন্দের নয় এটি। হাওয়াই মিঠাইয়ের ইংরেজি নাম কটন ক্যান্ডি। জানেন কি এই হাওয়াই মিঠাইয়ের চল প্রথম কোন দেশে হয়েছিল। মজাদার এই ক্যান্ডির জন্ম হয়েছিল সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাইতো দেশটিতে প্রতি বছরের ৭ ডিসেম্বর হাওয়াই মিঠাই দিবস পালিত হয়। মূলত এই দিবসটি হচ্ছে ‘জাতীয় কটন ক্যান্ডি ডে’।

কটন ক্যান্ডির নাম প্রথম ব্যবহার করে মার্কিন দন্ত জোসেফ ল্যাসকক্স। মূলত দাঁতের চিকিত্সা শেষে রোগীর ভালো অনুভূতি হওয়ার জন্যই এটি খাওয়ার অনুমতি দিতেন। অন্য ক্যান্ডি খাওয়ার পর তা দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে। দাঁত ফ্লস না করলে নানা সমস্যা হয়। তাই জোসেফ ক্যান্ডির বিকল্প হিসেবে কটন ক্যান্ডি খেতে বলতেন।

হাওয়াই মিঠাইয়ের জন্ম অনেক আগে। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, পনেরশ শতকে এই ক্যান্ডি প্রথম বানানো হয়। যা বানিয়েছিলেন একজন ইতালীয় রাঁধুনি। তিনি চিনির সিরাকে কাঁটা চামচ দিয়ে টেনে সুতার মতো তৈরি করতেন। তবে ওই সময় এর নাম হাওয়াই মিঠাই ছিল না।

ষোড়শ শতকে ভেনিস ভ্রমণকালে ফ্রান্সের সম্রাট তৃতীয় হ্যানরিকে বিভিন্ন মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সেখানে ছিল চিনির পেঁচানো সুতা। ওই সময় হাওয়াই মিঠাই যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি। তাই কাঁটা চামচের মাথায় চিনির সিরা লাগিয়ে টেনে পেঁচিয়ে সুতা মতো বানানো হতো।

১৯০৪ সালে মরিসন এবং ওয়ার্টন প্রথম হাওয়াই মিঠাই যন্ত্র আবিস্কার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইস ওয়ার্ল্ডস ফেয়ারে হাওয়াই মিঠাইয়ের দোকান দেন তারা। মেলায় সবার দৃষ্টি ছিল সেখানেই। প্রায় ৭০ হাজার হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন তারা।

বর্তমান সময়ের যে হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যায় তার উদ্ভাবন হয়েছে গত শতাব্দীতে। ১৯৪৯ সালে গোল্ড মেডেল প্রোডাক্টস হাওয়াই মিঠাই তৈরির উন্নত যন্ত্র নিয়ে আসে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হাওয়াই মিঠাই যন্ত্র তৈরি হয় এই প্রতিষ্ঠান থেকেই।

 

সূত্র: ন্যাশনালটুডে

Link copied!