• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

৮৫ বছরের গবেষণায় মিলল সুখের সন্ধান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
৮৫ বছরের গবেষণায় মিলল সুখের সন্ধান
আমাদের দরকার পরিবার আর বন্ধু মিলিয়ে চারপাশে সুন্দর একটা ‘সামাজিক সুস্থতা’ তৈরি করা। ছবি : সংগৃহীত

সুখ কীসে মেলে—যুগ যুগ ধরে মানুষ খুঁজছে এই প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু নির্দিষ্ট করে এ প্রশ্নের উত্তর কখনো মেলেনি। সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এর উত্তর খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, সুখে থাকার জন্য আমাদের দরকার মানুষ। আমাদের দরকার পরিবার আর বন্ধু মিলিয়ে চারপাশে সুন্দর একটা ‘সামাজিক সুস্থতা’ তৈরি করা।

জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই সুখের অন্বেষণ শুরু করেন। তারা ৭২৪ জন মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে দুই বছর অন্তর তাদের কাছ থেকে সুখবিষয়ক প্রশ্নের উত্তর নিতে শুরু করেন। পৃথিবীব্যাপী চলা ৮৫ বছরের এই গবেষণার ফলাফল হলো, মূলত পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ভালো একটা সম্পর্কই পারে আপনাকে সুখী করে তুলতে। এমনকি খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের চেয়ে পরিবার আর বন্ধু আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষকরা জানিয়েছেন, শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও আমাদের শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। কারো সঙ্গে সুন্দর একটা আড্ডা দেওয়ার সময় আমাদের শরীরে একটা শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ে, আরাম আরাম লাগে।

সামাজিক সুস্থতা কীভাবে অর্জন করবেন?

আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, আমরা সব সময়ই শরীর বা মনের যত্ন নিলেও, টাকা পয়সার বিষয়ে সচেতন হলেও আমাদের সম্পর্কগুলোর যত্ন নেওয়ার কথা আমরা বেমালুম ভুলে যাই।

মানবীয় সব সম্পর্ককেও একটা শিশুর মতোই যত্নে লালন–পালন করতে হয়। ছোট্ট একটা চারা গাছের মতোই—পানি দেবেন, যত্ন নেবেন, রোদে রাখবেন, বেড়া দেবেন। তবেই এই চারা গাছ একদিন মহিরুহ হয়ে আপনাকে ছায়া দিতে পারবে।

ভুল ও টক্সিক মানুষকে দূর করে সঠিক মানুষদের নিজের আশপাশে রাখা এবং সম্পর্ক মজবুত রাখা সামাজিক সুস্থতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

Link copied!