ছোট-বড় সবাই বার্গার খেতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে নানা ফ্লেভারের বার্গার তৈরি হয়। খাদ্যরসিকরা ভিন্ন স্বাদের বার্গারের খোঁজে থাকেন। স্বাদের একটু ভিন্নতা পেলেই ছুটে যান ওই রেস্টুরেন্টে। এরমধ্যে দাম হাতের নাগালে হলে তো কথাই নেই।
বার্গারপ্রেমিরা বিশ্বের সবচেয়ে দামী বার্গারের সন্ধান কি জানেন? এটি পাওয়া যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসে। দেশটির বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী রবার্ট জান দে ভিন এই দামী বার্গারটি বানিয়েছেন। যার দাম ধরা হয়েছে ৫০০০ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য হয় প্রায় ৫ লাখেরও বেশি টাকা।
নানা উপকরণের মিশ্রণে তৈরি হয় বার্গারটি। বার্গারের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে ভিন্ন স্টাইলে ভিন্ন স্বাদ দিয়ে নতুন বার্গারটি বানান রবার্ট জান দে ভিন।
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে নিজেও কিছুটা একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম অন্যরকম কিছু করা যাক। তখনই চিন্তা এলো বার্গারের চেহারা বদলে একটু অন্যরকমভাবে তৈরি করা যায়। সেই চিন্তা থেকেই এটি তৈরি করা।‘
বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গার তৈরিতে যে উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে তাও জানান এই রন্ধনশিল্পী। তিনি বলেন, ‘বার্গারে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি কাঁকড়া, স্প্যানিশ পলেতা ইবেরিকো অর্থাৎ বিশেষ উপায়ে তৈরি করা এক ধরনের মাংস, সাদা ট্রাফল, ইংল্যান্ডের বিশেষ চিজ, সবচেয়ে দামি কফি দিয়ে তৈরি করা বার্বিকিউ সস এবং অত্যন্ত দামী শ্যাম্পেন।‘
উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় বার্গারটির দামও বেশি বলে জানান রবার্ট। এরপরই এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামী বার্গারের খ্যাতি পেয়ে যায়।
বিশ্বের দামী এই বার্গারটি ইতোমধ্যে কিনেও নিয়েছেন এক ক্রেতা। নেদারল্যান্ডসের রেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংস্থা এই বার্গারটি কিনে নেয়। ‘রয়্যাল ডাচ ফুড’ সংস্থার সভাপতি রোবের উইলিয়ামস এই বার্গারটি খেয়েছেন।
বার্গার বিক্রির পর পাওয়া পুরো ইউরো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করা হয়েছে বলে জানান রন্ধনশিল্পী রবার্ট জান দে ভিন।
সূত্র: জিও নিউজ