শিশুর কিছু সহজাত প্রবৃত্তির কারণেই তারা আদর-ভালোবাসার ভাগ অন্য কাউকে দিতে চায় না। প্রথম সন্তানের পর যখন পরিবারে দ্বিতীয় সন্তান আসে তখনই শুরু হয় বিড়ম্বনা। প্রথম অবস্থায় বড় সন্তান বাড়ির নতুন সদস্যকে মেনে নিতে পারে না। আকস্মিক তার ভালোবাসার ভাগ তৈরি হয়ে যাওয়া শিশুর কাছে তা মোটেও সহজ থাকে না।
দুই সন্তানের ঈর্ষা নিয়ে অনেক বাবা-মায়েদেরই সমস্যায় পড়তে হয়। ছোট ভাই বা বোন হওয়ার পরে অনেক শিশুই ঈর্ষা করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ঈর্ষা কেটেও যায়। আবার অনেক সময় এই মানসিকতা নতুন করে জন্মও নিতে পারে।
বাবা-মা কীভাবে বুঝবেন, আপনার সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত কি না। এর জন্য় কিছু বিষয়ে খেয়াল করে দেখুন_
- শিশুরা একে অন্যের প্রশংসা তো নয়ই, উল্টো সারাক্ষণ সমালোচনা করেই চলেছে। দু’জনের তিক্ততার এটাই প্রথম লক্ষণ।
- একজন সব সময় অন্যজনের মতো বদলাতে চাইবে। এটাও তিক্ততার লক্ষণ। ভবিষ্যতে ওদের সম্পর্কে তার প্রভাব পড়তে পারে।
- শিশুরা একে অন্যকে কথা দিয়ে সে কথা রাখছে না। ইচ্ছা করেই উল্টো কাজটা করছে। এমন অবস্থা দেখলে সচেতন হওয়া প্রয়োজন মা-বাবার।
- কোনো কিছুর ভাগ দেওয়া নিয়ে অস্বীকার করা। সবকিছু একা খেতে চাওয়া, একা পরতে চাওয়া, একা বেড়াতে যেতে চাওয়া। এরকম কোনো আচরণ দেখলেই সচেতন হোন।
- বাড়িতে অতিথি এলে শিশুদের আচারণের পরিবর্তন বেশি পরিলক্ষিত হয়। তারা ছোট-ছোট বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে দেয়।
- শিশু নিজের দোষ অন্যের উপর চাপাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এর অর্থ শিশুরা পরস্পরকে সহ্য করতে পারছে না।
- ঝগড়া বা অল্প মারামারি হলো। কিন্তু তার পরেও একজন অন্যজনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছে না, বা তার সঙ্গে ঝগড়া মিটিয়ে নিচ্ছে না। এমন হলে বুঝতে হবে, তারা মোটেও স্বাভাবিক অবস্থানে নেই।
- সম্পর্কের তিক্ততায় অনেক সময় বাচ্চারা একে অন্যের গায়ে হাত তুলে বসে। এটাও খেয়াল রাখুন।