আজ মহানবমী। দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের দিন। তাই আজ মণ্ডপে মণ্ডপে বাজবে বিদায়ের সুর। একদিন পরই সবাইকে কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবে দেবীদুর্গা। দেবী এবার এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে এবং বিদায় নেবেন দোলায় বসে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই ভক্তরা মন্দিরে ভিড় করেন। সকালে পূজা অর্চনার মধ্য দিয়েই শুরু হবে নবমীর আনুষ্ঠানিকতা আর সন্ধ্যায় শুরু হবে আরতি প্রতিযোগিতা। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের আগেই কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হবে নবমী পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদন করবেন।
এ দিন অগ্নিকে প্রতীক করে দেবীকে আহুতি দেওয়া হয়। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথা স্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এসময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে।
সনাতন ধর্ম মতে, নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। মহানবমীতে ভক্তরা মায়ের কাছে দেশ, জাতি ও বিশ্বের সকল জীবের মঙ্গল কামনায় আশীর্বাদ চাইবেন।
গত ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকেই পূজা হবে এবং বিকেলে বিজয় শোভাযাত্রা শেষে প্রতিমা বিসর্জন হবে। তাই পূজা যতই শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মন্দিরে মন্দিরে ততোই ভক্তদের আনাগোনা বাড়ছে।
এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে হচ্ছে দুর্গাপূজা। উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মন্ডপের চারপাশ ঘিরে বসেছে মেলা। সারাদেশের মতো রাজধানীর মণ্ডপগুলো ঘিরে আছে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী।