• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দুই ব্যক্তি ও ছয় প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ১১:২০ এএম
দুই ব্যক্তি ও ছয় প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

বিমানে জ্বালানি সরবরাহকারী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি ও ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলো। এরই জেরে এমন পদক্ষেপ বলে জানানো হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি তা আমদানি ও মজুতে সহায়তা করে থাকে। যা জান্তা বাহিনীকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অবিরাম বিমান ও বোমা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলেছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা চালানোর উপাদানগুলো জোগান যেন সহজে না পায়, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাবে।

এর আগে বুধবার (২২ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছিল, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক চোলেট বলেছেন, “এ নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমার জান্তার জন্য অস্ত্র কিনতে রাজস্ব আয় করা আরও কঠিন করে তুলবে। আমরা জান্তার ওপর চাপ বাড়াতে এবং তাদের জন্য রাজস্ব তৈরি করা কঠিন করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা তাদের যুদ্ধের রণকৌশলে জ্বালানি জোগাচ্ছে।” 

মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। এ ছাড়া নোবেলজয়ী সু চিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করলেও দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কার্যক্রম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করারও অভিযোগ ওঠে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির সেনাদের নির্যাতনে। শুধু তা-ই নয়, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের অর্থনীতি। এখনো প্রায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর সদস্যদের লড়াইয়ের খবর পাওয়া যায়।

এ নিষেধাজ্ঞার খবর আসার আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো সরকারের কর্মকর্তা, কোম্পানি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ৮০ জন ব্যক্তি ও ৩০টির বেশি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

Link copied!