• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাচ্ছেন সৌদি নারী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম
প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাচ্ছেন সৌদি নারী

প্রথমবারের মতো একটি ব্যক্তিগত মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন সৌদি আরবের দুই নভোচারী। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস এই মিশনের আয়োজন করেছে।

রোববার (২১ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, সৌদির দুই মহাকাশচারীর একজন রায়ানাহ বারনাভি। তিনি একজন স্তন ক্যানসার গবেষক। বারনাভির সঙ্গে এই মিশনে সৌদির অপর যে নভোচারী থাকছেন, তার নাম আলী আল-কারনি। তিনি পেশায় যুদ্ধবিমানের পাইলট।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় আজ রোববার বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে ‘স্পেসএক্স ফ্যালকন-৯’ রকেটে সৌদির এই দুই নভোচারীসহ চার সদস্যের মিশনটির যাত্রা শুরু হবে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই চারজন প্রায় ১০ দিন থাকবেন। সেখানে তাঁদের কাল সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে পৌঁছানোর কথা।

অ্যাক্সিওম মিশন ২ (অ্যাক্স-২) নামের এই মিশনের অপর দুই সদস্য হলেন পেগি হুইটসন ও জন শফনার। পেগি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একজন সাবেক মহাকাশচারী। তিনি চতুর্থবারের মতো আইএসএসে যাচ্ছেন। শফনার পেশায় ব্যবসায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের এই ব্যক্তি মিশনটিতে পাইলট হিসেবে কাজ করবেন।

রায়ানাহ বারনাভি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রথম সৌদি নারী মহাকাশচারী হওয়ায় এবং এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তিনি আনন্দিত। এই মিশনের অংশ হতে পেরে তিনি খুবই খুশি। আইএসএসে থাকাকালে গবেষণা তো বটেই, ফিরে এসে শিশুদের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে তিনি অধীর হয়ে অপেক্ষা করছেন।

চার সদস্যের এই দল আইএসএসে থাকাকালে প্রায় ২০টি পরীক্ষা চালাবেন। এর একটি হলো, মহাকর্ষণ–শূন্য পরিস্থিতিতে স্টেম সেল কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে। তারা আইএসএসে অবস্থান করা আরও সাতজনের সঙ্গে যোগ দেবেন।

আগে একবার সৌদির এক নভোচারী মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন। তিনি প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ। সৌদির বিমানবাহিনীর সাবেক এই পাইলট ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত মহাকাশ ভ্রমণে অংশ নিয়েছিলেন।

Link copied!