রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। গত ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া সেই চুক্তির ফলে কিছুটা স্বস্তি এসেছিল খাদ্যপণ্যের বাজারে।
রয়টার্স জানায়, কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এর প্রতিক্রিয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া। ফলে বিশ্ববাজারে আবারও অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু পর ইউক্রেন থেকে বিভিন্ন দেশে শস্য রপ্তানি বন্ধ ছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দরের নৌবহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। শনিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে এই হামলা চালানো হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের সহায়তায় কৃষ্ণসাগরে নোঙর করা রুশ নৌবহরে ইউক্রেন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এতে শস্য করিডরের জন্য কাজ করা জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে ইউক্রেনের বন্দর থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য করা চুক্তিতে নিজেদের অংশগ্রহণ স্থগিত করেছে রাশিয়া। যদিও এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, অধিকাংশ ড্রোন প্রতিহত করেছে রাশিয়া।
এদিকে রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণার জন্য রাশিয়াকে দুষছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রেই ইয়ারমাক। তিনি বলেছেন, নিজের এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার কথা বলে রাশিয়া ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
এর আগে রাশিয়ার কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি পাত্রুশ্চেভ বলেছিলেন, আগামী চার মাসে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য পাঁচ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত রাশিয়া। এ কাজে তুরস্ক সহায়তা করবে। এর মধ্যে ইউক্রেনের খাদ্যশস্যও থাকার কথা ছিল।
