• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
সুদানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব

দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব মিসর ও দক্ষিণ সুদানের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩, ০১:১৪ পিএম
দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব মিসর ও দক্ষিণ সুদানের

সুদানের রাজধানীতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির একটি শক্তিশালী আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে। আর এতে এখন পর্যন্ত ১০০ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। রোববার দুই পক্ষই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও বিভিন্ন জায়গায় লড়াই হয়েছে। এ রকম এক পরিস্থিতিতে মিসর ও দক্ষিণ সুদান এই বিরোধ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সুদানে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মেটাতে প্রস্তাব দিয়েছে মিসর ও দক্ষিণ সুদান।

এ বিষয়ে মিসর ও দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। তাদের মতে, সুদানে উত্তেজনা কমানো জরুরি। না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সে জন্যই তারা মধ্যস্থতা করতে চান।

সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রথম দিন দুই পক্ষই বিভিন্ন জায়গায় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে বিবৃতিতে দেয়। কিন্তু তৃতীয় দিনের মাথায় এসে রাজধানী খার্তুমে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, লড়াইয়ে এখন সেনাবাহিনী এগিয়ে গেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সুদানের সামরিক নেতা জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান এবং আধা-সামরিক বাহিনীর নেতা জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাদের অবিলম্বে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন।

এই সংঘর্ষের জেরে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম সাময়িকভাবে তাদের কাজকর্ম স্থগিত রেখেছে। কারণ, তাদের তিনজন কর্মী মারা গেছেন এবং দুজন আহত হয়েছেন। সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানিয়েছেন, কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হলে তারা কাজ শুরু করবেন না।

২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিলের’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন। এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপর দিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।

বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূতকরণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে, এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

Link copied!