রেড ক্রসের সহায়তায় অবরুদ্ধ গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল থেকে ২০০ জন রোগীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়েন্স।
সোমবার (২০ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এএফপিকে বলেন, “২০০ রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাসে করে সরিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। গণমাধ্যমটির এক সাংবাদিক দুটি বাসকে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে আসতে দেখেছেন।
হাসপাতালটিতে ইসরায়েলি হামলায় চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষসহ ১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানায়, রোববার (১৯ নভেম্বর) ইসরায়েলি সেনারা অতর্কিতভাবে হাসপাতালটিকে ঘিরে ফেলে হামলা চালায়। তারা এখনো চারপাশ ঘিরে রেখেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, “ইসরায়েল ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও আল-শিফার কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে। তারা এই হাসপাতালটিরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে।”
বিগত সপ্তাহে ইসরায়েলি সেনারা আল–শিফা হাসপাতালে ঢুকে কয়েক দফায় অভিযান চালায়। তাদের দাবি, হাসপাতালের তলদেশে থাকা টানেল থেকে হামাস বাহিনী তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ইসরায়েলি সেনাদের এ দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও হামাস।
রোববার (১৯ নভেম্বর) এক ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছেন, তারা সেখানে ১০ মিটার গভীর একটি টানেলের সন্ধান পেয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসরায়েল এমন কিছু প্রমাণ করতে পারেনি।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং হামাসের কাছে বন্দী আছেন ২৪০ জনের বেশি মানুষ। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় নৃশংসভাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এতে ১৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনকে হামাসমুক্ত করতে ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালগুলোতে এ অভিযান চালাচ্ছে।