নাগার্নো-কারাবাখের জাতিগত আর্মেনিয়ানরা বাকুর কাছে অস্ত্র জমা দেওয়ার আগে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে। তাদের নেতা সামভেল শাহরামানিয়ানের উপদেষ্টা ডেভিড বাবায়ান বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর একদিন আগে আজারবাইজান ঘোষণা দিয়েছিল যে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলটিকে তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। খবর আল-জাজিরার।
নাগার্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্ন জাতিগত আর্মেনিয়ান নেতা সামভেল শাহরামানিয়ানের উপদেষ্টা বাবয়ান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। তবে আমরা একটি চূড়ান্ত চুক্তির জন্য অপেক্ষা করছি - আলোচনা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের অনেক প্রশ্ন এবং সমস্যার মধ্য দিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। এখনও চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি।”
অস্ত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, বাবায়ান বলেন যে তার লোকদের মরতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আগে দিতে হবে।
এদিকে, কারাবাখ আর্মেনিয়ান কর্তৃপক্ষ আজারবাইজানকে বুধবারে (২০ সেপ্টেম্বর) হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
আজারিজদের কাজে খানকেন্দি নামে পরিচিত টালমাটাল অঞ্চলটির প্রধান শহর স্টেপানাকার্টের দুইটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে যে তারা বৃহস্পতিবার সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনেছে। তবে কে গুলি করছে তা স্পষ্ট নয়।
ইয়েভলাখের আজেরি শহরে যুদ্ধরত পক্ষের প্রতিনিধিদল আলোচনা শুরু করার পরে এই দাবির কথা সামনে আসলো।
বুধবার যুদ্ধরত দুইপক্ষ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যা বাকু থেকে ছিটমহলটির স্বাধীনতার জন্য কয়েক দশকের আকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটাতে পারে।
আজারবাইজান নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লক্ষ্যে আক্রমণ শুরু করার ২৪ ঘন্টা পর এই চুক্তিটি হয়েছিল। দেশটি তার সামরিক পদক্ষেপকে ন্যায্যতা প্রদানে দাবি করেছে যে নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনীয়দের দ্বারা স্থাপন করা মাইনের কারণে দুই বেসামরিক নাগরিকসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
নাগার্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তবে সেখানে বসবাসকারী ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ানরা এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে। বাকু ও ইয়েরেভান কয়েক দশক ধরে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে।