সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে ইউরোপের দেশ সার্বিয়া। শনিবার (২৯ জুন) দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিচের ১২ বছরের শাসনের অবসান ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের বিশাল জনতার সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা-বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
জানা গেছে, দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় এই বিক্ষোভে অংশ নেয় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত এই আন্দোলন ভুচিচ সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দাঙ্গা পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুঁড়তে দেখা গেছে।
প্রেসিডেন্ট ভুচিচ তার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি পোস্টে ‘আগাম নির্বাচন আহ্বানকারী বিক্ষোভকারীদের দেশ দখল চেষ্টার বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “তারা সার্বিয়াকে উৎখাত করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
উত্তরের শিদ শহর থেকে এসে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৩৭ বছর বয়সী কৃষক স্লাজানা লোজনোভিচ গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলো দখলে চলে গেছে, দুর্নীতি চরমে। শান্তিপূর্ণভাবে ভুচিচ ক্ষমতা ছাড়বেন বলে মনে হয় না। নির্বাচনই একমাত্র সমাধান।”
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) বেলগ্রেডের হাইকোর্ট জানিয়েছিল, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
ভুচিচের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। সে বছরই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিরোধীদের দাবির মুখে আগাম নির্বাচনে যেতে রাজি নন তিনি। বর্তমানে তার দল ‘সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি’ এবং মিত্রদের দখলে রয়েছে সংসদের ২৫০ আসনের মধ্যে ১৫৬টি।