• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চীনা বন্দর রক্ষায় মরিয়া মিয়ানমার জান্তা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
চীনা বন্দর রক্ষায় মরিয়া মিয়ানমার জান্তা
বন্যপ্রাণীতে ভরা মিয়ানমারের এই রামরি দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার চুক্তি হয় চীনের সঙ্গে।

মিয়ানমারের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার রাখাইন প্রদেশের রামরি দ্বীপে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের আস্তানায় বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দ্বীপটিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনী যুদ্ধা জাহাজ থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে বলেও জানিয়েছে।
চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বৈঠক শেষ হবার পর পরই মিয়ানমার সেনাবাহিনী বিদ্রোহী তিন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রামরি দ্বীপে এই অপারেশন চালালো।

বন্যপ্রাণীতে ভরা রামরি দ্বীপের উপকূলে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ার জন্য চীনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে মিয়ানমার জান্তা সরকারের। 

বিদ্রোহীদের তিনটি সংগঠন- ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ড্যামোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’ (এমএনডিএএ) মিলে গঠিত জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ দেশটির সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। এ কারণে চলতি সপ্তাহে চীনের মধ্যস্থতায় শান্তি বৈঠক ভণ্ডুল হয়ে যায়।

গত নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ মিয়ানমার সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। যেটির নাম-‘অপারেশন ১০২৭’। এই অপারেশনের মাধ্যমে বিদ্রোহীরা দেশটির প্রায় অর্ধেকেরও বেশি রাজ্য দখলে নিয়েছে। তাদের অপারেশন চলমান রয়েছে এখনো।

উত্তর, পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারের শান, চিন আর সাগিয়াং প্রদেশ রয়েছে এই তালিকায়। তিন সংগঠনের জোটের পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)-ও শামিল হয়েছে জান্তাবিরোধী এই যুদ্ধে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জান্তা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গৃহযুদ্ধের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির লক্ষাধিক মানুষ (যার মধ্যে কয়েক হাজার আশ্রয় নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মিজোরামে)। 

এই পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরের গোড়ায় চীনা পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র কয়েক জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতির জন্য সক্রিয় হয়েছিলেন। মিয়ানমারের সরকারি টিভি চ্যানেল ‘গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমার’এ সে খবর জানিয়েছিলেন সামরিক জান্তা সরকারের মুখপাত্র জমিন তুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেইজিংয়ের সেই উদ্যোগ বিফলে গেল।

সূত্র-আনন্দবাজার
 

Link copied!