• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মিয়ানমার জান্তার হাতে ৫১৩ জনেরও বেশি নারী নিহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম
মিয়ানমার জান্তার হাতে ৫১৩ জনেরও বেশি নারী নিহত

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে ৫১৩ জনেরও বেশি নারীকে হত্যা এবং ৩ হাজার ৩৯০ জনকে আটক করেছে মিয়ানমারের জান্তা। দেশটির বার্মিজ উইম্যান’স ইউনিয়নের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

বার্মিজ উইম্যান’স ইউনিয়ন জানিয়েছে, শুধু এপ্রিল মাসেই ৫৫ জন নারী নিহত এবং ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ এপ্রিল সাগাইং অঞ্চলের কান্তবালু টাউনশিপের পাজি গাই গ্রামের ৪৫ জন নারী বোমা হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।

উইম্যান’স ইউনিয়ন অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে ৮১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

এএপিপি জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণের পর ৩ হাজার ৪০০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে আটক রাখা হয়েছে ১৭ হাজারকে। এদের মধ্যে নারী শিল্পী, কর্মী, রাজনীতিবিদ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী এবং সাংবাদিক রয়েছেন।

২০২২ সালের নভেম্বরে কায়া রাজ্যের ডেমোসো টাউনশিপের একটি নার্সারিতে পাঁচ বছরের একটি শিশু নিহত হয়ে। ১ ও ২ মার্চ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শক্তঘাঁটি সাগায়িং অঞ্চলের থ্রি টার তায়িং গ্রামে গণহত্যা চালানোর সময় ধর্ষণ ও হত্যা চালানো হয়।

গত মাসে দুই শিল্পী ও গায়িকাকে আটক করে জান্তা বাহিনী। তাদের অপরাধ তারা পাজি গাই বিমান হামলায় নিহতদের জন্য সমবেদনা জানিয়ে ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন করেছিল।

যদিও বুধবার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাসোনে ‘পূর্ণিমা দিবস’ উপলক্ষে ২ হাজার ১৫৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করার ‘অপরাধে’ কারাবন্দী ছিলেন। বুধবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার এসব কারাবন্দীকে ক্ষমা ঘোষণা করে।

সামরিক জান্তা এক বিবৃতিতে বলেছে, কাসোনে পূর্ণিমা দিবস উপলক্ষে দণ্ডবিধি ৫০৫ (এ)-এর অধীনে সাজা ভোগ করা ২ হাজার ১৫৩ জন বন্দিকে ক্ষমা করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী ‘মানুষের মনে শান্তি এবং মানবিক কারণে’ ক্ষমার আদেশ দিয়েছে। তবে যারা আবারও একই অপরাধ করবে তাদেরকে জরিমানাসহ বাকি সাজা ভোগ করতে হবে।

দণ্ডবিধি ৫০৫ (এ)-এর অধীনে অপরাধীরা সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়ে থাকে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ১৭০ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Link copied!