তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। ভবন ধসে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ। চলছে উদ্ধার কাজ। এদিকে এ ঘটনায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে তুরস্ক।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে লেবানন ও সাইপ্রাসেও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫০০-র বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে ১৪০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা। এখন পর্যন্ত ৪২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল দক্ষিণ তুরস্কে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর কিছু ক্ষণ পর আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মধ্য তুরস্কে।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-এর মতে, দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
বিপর্যয়ের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক, টুইটারে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তীব্র কম্পনের ফলে বাড়িঘর ভেঙে পড়ছে। প্রাণ বাঁচানোর আশায় স্থানীয়দের ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। দমকলকর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
গাজিয়ানতেপ প্রদেশের গভর্নর দাভুট গুল টুইটারে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, “আমাদের শহরে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আপনারা শান্ত থাকুন। বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করুন। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালাবেন না। দয়া করে রাস্তায় ভিড় করবেন না।”
আপনার মতামত লিখুন :