• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘ফণী’র মতোই বিধ্বংসী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ১১:৫৯ এএম
‘ফণী’র মতোই বিধ্বংসী হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। ক্রমে তা শক্তি বাড়িয়ে সমতলে আছড়ে পড়তে পারে বলে আগাম সতর্কতা জারি করেছে ভারতে আবহাওয়া দপ্তর। দেশটির ওড়িশা রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোচা’।

বুধবার (৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া ও এবিপি লাইভ পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকে বসেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। সেখানে এখন থেকেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মকর্তারা

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ৮ মে দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি লঘুচাপ। যেটি শক্তি সঞ্চয় করে ১০ মে ঘূর্ণিঝড় মোচায় পরিণত হবে। ১৪ মে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। পূর্বাভাস সত্যি হলে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

ওড়িশা সরকার সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন নবীন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল বিভাগকেও তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এখন থেকেই নিরাপদ দূরত্বে স্থানীয় মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ত্রাণকার্য এবং পুনর্বাসন নিয়েও এখন থেকে পরিকল্পনা সেরে রাখতে বলা হয়েছে।

নবীন পট্টনায়ক বলেন. “২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী রাজ্যে আঘাত করেছিল এবং বড় আকারের ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছিল। আমাদের সাবধান হওয়া দরকার। সমস্ত জীবন আমাদের কাছে মূল্যবান।”

রাজ্যের বিশেষ ত্রাণ কমিশনার সত্যব্রত সাহু বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে আমরা সতর্ক রয়েছি। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ১৭টি দল এবং ওড়িশা ডিজাস্টার র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ২০টি দলকে সতর্ক রাখা হয়েছে। একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় গঠনের বিষয়ে আমরা ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

বঙ্গোপসাগরে এর আগেও একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ফণী, ২০২০ সালের আম্পান, ২০২১ সালের ইয়াসও ছিল। ঘূর্ণিঝড় ফণীর সঙ্গে মোচার মিল থাকতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদরা। তবে এর প্রভাব কতটা হবে, তা নিয়ে এখনই পরিষ্কারভাবে কিছু জানা যায়নি।

Link copied!