• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুকুশিমার পানি সাগরে ছাড়তে প্রস্তুত জাপান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম
ফুকুশিমার পানি সাগরে ছাড়তে প্রস্তুত জাপান
ছবি: সংগৃহীত

সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সাগরে ছাড়তে যাচ্ছে জাপান। প্রতিবেশী দেশগুলোর আপত্তির মুখে জাপান এই পানি ছাড়ার প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলের অনুমোদন পাওয়ার পরই জাপান পানি ছাড়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ধীরে ধীরে ছাড়া হবে প্রায় ৩০ বছর ধরে। এই পরিমাণ পানি দিয়ে ৫০০টি অলিম্পিক আকারের সুইমিংপুল পূর্ণ করা যাবে।

জাপান এতদিন ধরে এই পানি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করে আসছিল কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় তারা এ পানি এবার সাগরে ছাড়তে যাচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রোববার ফুকুশিমার প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেন। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে ফুমিও কিশিদা বলেন, আবহাওয়া ও সাগরের পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ২৪ আগস্ট থেকে পানি ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।  
ফুকুশিমার পানি সমুদ্রে ছাড়া হলে পরিবেশে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে দাবি করে জাপান ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিক্ষোভ করছেন পরিবেশবাদীরা। তবে টোকিওর দাবি, ফুকুশিমার পানি পরিশোধিত হওয়ায় সাগর ও পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা নেই। 
এ পরিস্থিতিতে ফুকুশিমার আশপাশ থেকে ধরা মাছ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন। হংকং জানিয়েছে কিছু জাপানি খাবার আমদানি তারা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
২০১১ সালে দেশটিতে ৯ দশমিক শূন্য মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। ফলে সুনামি হয়ে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি চুল্লি পানিতে ডুবে যায়। ফুকুশিমার এই দুর্ঘটনাকে ১৯৮৬ সালের সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা বলা হয়।

Link copied!