পাকিস্তানে বুধবার রাত ১টার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান শুরু করে ভারত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অভিযানের অংশ হিসেবে ভারতের বিমান হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারতকে সমর্থন দিয়ে বার্তা দিয়েছে ইসরায়েল।
বুধবার (৭ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, এক্সে এক বার্তায় ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।’
ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর ঘাঁটি চিহ্নিত করে অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সীমিত পরিসরে হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানে, যার লক্ষ্য ছিল কেবল ‘সন্ত্রাসী’ ও তাদের অবকাঠামো।
ভারতের ৫ যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। ওই যুদ্ধবিমানগুলোর পাইলটদের বন্দী করেছে পাকিস্তান। বুধবার স্থানীয় সময় সকালে জিও নিউজ, ডনসহ একাধিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ভূপাতিত করা বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি সুখোই-৩০ এবং একটি মিগ-২৯ রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ড্রোনও ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান। তথ্যমন্ত্রী তারার আরও জানান, বিমানগুলো আখনূর, আম্বালা, বারনালা ও জম্মু এলাকায় ভূপাতিত করা হয়েছে।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে আছে।
তবে যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়া এবং পাইলটদের বন্দী হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের অংশবিশেষের ছবিতে একটি ফরাসি প্রস্তুতকারকের লেবেল দেখা গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ২০১৬ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে ভারত, ২০২০ সাল থেকে জেটগুলো ভারতে আসা শুরু করে।