• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মুহররম ১৪৪৬

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নুর আলম ওরফে হুমায়ুন (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী দেন। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার বাবা কুতুব উদ্দিন মোল্লা ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর স্থানীয় থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে কুতুব উদ্দিন অভিযোগ করেন, “২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাত পৌনে একটার দিকে আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোপালদী গ্রামে। তার পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তাদের নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর আমার মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছু জানান না তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরদিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে আমরা মেয়েকে হত্যার বিষয়টি জানতে পারি। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোনো সদস্যকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।”

Link copied!