বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তার আশ্বাস ইউএই’র


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম
বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তার আশ্বাস ইউএই’র

বাংলাদেশে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত- সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে আরব আমিরাত (ইউএই)।  

বুধবার (৭ মে) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএই’র টলারেন্স অ্যান্ড এক্সিসটেন্স বিষয়ক কেবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় অধ্যাপক ইউনূস ইউএইকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ নাহায়ানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলটি আজ দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় স্বল্প সময়ের সফরে আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ, বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহমান আল হাওয়ি।

আল নাহায়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনর্ব্যক্ত করতে আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এখানে এসেছি।”

তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের সরকারের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের বাড়তি সংলাপকে আমরা প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত- সব খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।”

এই সৌহার্দমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা এ ধরনের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। আমরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ প্রস্তাবকেও স্বাগত জানাই।”

ভিসা নীতিতে শিথিলতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। এখনো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি আছে। আশা করি, আমরা সম্পৃক্ত থাকব এবং সমস্যাগুলো সমাধান করব।”

সম্প্রতি ইউএই প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য ভিসাগুলোও সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত অনুমোদিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেম পুনরায় চালু করেছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেল কর্মীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ভিসাও এই পদ্ধতিতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য ৫০০ ভিসা ইতোমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হামুদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে ইউএই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।

Link copied!