রোভার প্রজ্ঞাকে নিয়ে চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। এই রোভার ও ল্যান্ডারের নাম কেন ‘বিক্রম’ ও ‘প্রজ্ঞা’ হলো, তার উত্তর এক প্রতিবেদনে দিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
ভারতীয় মহাকাশ অভিযানের পথপ্রদর্শক বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নামানুসারে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারটির নাম ‘বিক্রম’ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এই সফলতার নেপথ্যেও রয়েছে এই বিজ্ঞানীর নাম। ইসরোর পূর্বসূরি অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের সূচনার সঙ্গে জড়িত ‘ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি’ ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিক্রম।
১৯১৯ সালের ১২ আগস্ট জন্ম নেওয়া বিক্রম সারাবাইয়ের বিজ্ঞান ছাড়াও আগ্রহ ছিল খেলাধুলা, সংখ্যাতত্ত্বসহ বিবিধ বিষয়ে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা এই বিজ্ঞানী আজীবন কাজ করেছেন পারমাণবিক শক্তি মানবকল্যাণে ব্যবহার করতে।
নেহরু ফাউন্ডেশন ফর ডেভলপমেন্ট, ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রোন প্রজেক্ট, ইলেকট্রনিক করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ আরও অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই বিজ্ঞানী। ১৯৭৫ সালে ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্টর সফল উৎক্ষেপণে অবদান রাখা বিক্রমের মৃত্যু হয় ১৯৭১ সালে।
চন্দ্রযান-৩-এর রোভারটির নামকরণ হয়েছে সংস্কৃত শব্দ ‘প্রজ্ঞান’ থেকে। যার অর্থ জ্ঞান।
জুতোর বাক্স আকৃতির ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা ও অ্যারে নামক চারটি পেলোড। এর মধ্যে রম্ভা চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলো নিরীক্ষণ করবে। চ্যাস্টে মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। অবতরণ স্থানের আশপাশের মাটির কম্পনসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা। আর অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে।
অপর দিকে দিকে রোভার প্রজ্ঞা চাঁদে নেমেছে একাধিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিয়ে। লাখ লাখ বছর ধরে চাঁদের ভূমিরূপ কীভাবে এবং কোন উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে, তা অনুসন্ধান করবে প্রজ্ঞা।
আপনার মতামত লিখুন :