• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

হামাস ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি চায়, বিনিময়ে ১৫ বন্দীর মুক্তি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৮:০১ পিএম
হামাস ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি চায়, বিনিময়ে ১৫ বন্দীর মুক্তি
উপত্যকার সালা আল দিন সড়ক দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজার দিকে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ছবি- আল জাজিরা।

কাতারের মধ্যস্থতায় হামাসের হাতে জিম্মী থাকা ১২ থেকে ১৫ জন বন্দীকে মুক্তির বিনিময়ে গাজায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। মুক্তির তালিকায় থাকা বন্দীদের বেশিরভাগই আমেরিকান বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, হামাস ১২ থেকে ১৫ জন বন্দী মুক্তির বিনিময়ে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি দাবি করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ১ থেকে ২ দিনের মানবিক বিরতিতে সম্মত হতে পারে। হামাসের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে, মুক্তির তালিকায় থাকা বন্দীদের মধ্যে ৬ জন আমেরিকান নাগরিক।

সূত্র দাবি করছে, পণবন্দীদের মুক্তি প্রদান এবং মিশর যাতে মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে সেজন্য অন্তত তিন দিনের যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

এদিকে বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন,বন্দীদের মুক্তি ছাড়া কোনা যুদ্ধবিরতি নয়। তবে কতজন বন্দী এবং কাদের মুক্তি দিতে হবে বা বন্দীদের পরিচয়ের ব্যাপারেও তিনি কিছু বলেননি।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি না দেওয়ার পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র কেবল মানবিক বিরতির কথা বলছে, যা মাত্র কয়েক ঘণ্টার। তারা মনে করছে,যুদ্ধবিরতি হলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

ইসরায়েলের হিসেব মতে হামাসের হাতে এখন ১৮০ জন বন্দী রয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র আরও কয়েকটি পরিবারের হাতে আরও ২০ জন বন্দী রয়েছে। তারা একাধিক গ্রুপের কাছে বন্দী থাকায় আলোচনায় জটিলতা হচ্ছে বলে মনে করছে ইসরায়েল। 
জানা যায়, কাতার মূলত বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের সঙ্গেই বন্দী মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে।

ওয়ালা নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে বলেছেন যে, বন্দীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে অন্তত তিন দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। কিন্তু নেতানিয়াহু তাতে সম্মত হননি। তিনি উল্টো বলেছেন, “যুদ্ধবিরতি হলে হামাস সংগঠিত হবে এবং তাদের বিশ্বাস করা যায় না। তা ছাড়া হামাস বেশি বন্দীদের মুক্তি দিবে না। যুদ্ধবিরতি হলে আবার আক্রমণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ তখন অন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে।”

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সশস্ত্র শাখার সদস্যরা দখলদার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে ১,৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ওইদিনই ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত আছে। ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। 

সূত্র -আল জাজিরা ও এএফপি।

 

Link copied!