যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হচ্ছে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। বিশ্বের ১৪০ জনের বেশি নেতা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি এই অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। ‘জলবায়ু সংকট ও ইউক্রেনে যুদ্ধ’ বিষয় দুটি অধিবেশনে প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক শুরু হবে। দুই সপ্তাহের একাধিক বৈঠকের পর এই বিতর্ক শুরু হবে। জাতিসংঘের বার্ষিক আয়োজনের মধ্যে এই বিতর্কের প্রতি নজর থাকে বিশ্ববাসীর। এতে আগামী বছরের জন্য তাদের অগ্রাধিকার তুলে ধরার সুযোগ পান বিশ্বনেতারা।
এ বিষয়ে গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের জানান, এটি হলো এমন একটি মুহূর্ত যখন প্রতি বছর বিশ্বের সব প্রান্তের নেতারা শুধু যে বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তা নয়। সাধারণ কল্যাণের জন্যেও কাজ করেন। তাই এই মুহূর্তে বিশ্বের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এবারের সাধারণ বিতর্ক ‘আস্থা পুনর্গঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনরুজ্জীবিত করা: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বের দিকে ২০৩০ অ্যাজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ত্বরান্বিত করা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে সম্মেলন চলাকালে একাধিক পার্শ্ব বৈঠক ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাধারণ বিতর্কের প্রথম ভাষণ দিয়ে থাকেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট। এই অধিবেশনের নেতা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ডেনিস ফ্রান্সিস। তিনি বলেছেন, তার মেয়াদে বৃহত্তর বহুমুখিতা ও সমান সুযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সাধারণত প্রথম দেশ হিসেবে ব্রাজিল ভাষণ দিয়ে থাকে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা এবার তার ভাষণে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দিতে পারেন। জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণ করা লুলা অঙ্গীকার করেছেন, পরিবেশ ইস্যুতে ব্রাজিলকে পুনরায় বৈশ্বিক নেতার আসনে নিয়ে যাওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ আমাজন বনের সুরক্ষা জোরদার করার জন্য।
এরপর ভাষণ দেয় স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈশ্বিক নেতা হিসেবে ওয়াশিংটনের ভূমিকা তুলে ধরতে চেষ্টা করবেন।
এরপর বক্তা নির্ধারিত হয় জটিল হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে। প্রতিনিধিত্ব, ভৌগোলিক ভারসাম্য ইত্যাদি বিবেচনায় একের পর এক নেতা ভাষণ দেবেন। সূত্র-আলজাজিরা।