শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু ৪৩০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
বিবিসি জানিয়েছে, অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ দেশটির অন্যান্য শহরে এবং পার্শ্ববর্তী সিরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশ লেবানন, সাইপ্রাস, ইসরায়েলেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এরপর কয়েকবার পরাঘাত আঘাত হানে। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল ৬ দশমিক ৪ ও একটি ৬ দশমিক ৫ মাত্রার।
ভূমিকম্পে তুরস্কের ২ হাজার ৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের সময় ও তার পরে ৪ হাজার ৭৪৮টি ভবন ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় তুরস্কে দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটি ৮৪ বছরের মধ্যে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি।
এদিকে সিরিয়ার সরকার, হাসপাতাল ও উদ্ধারকর্মীরা ভূমিকম্পে ১ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, তারতুস প্রদেশে অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা যা জানা গেছে, সেটা পর্যাপ্ত নয়। এই সংখ্যা এখনকার তুলনায় আটগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ভূমিকম্পের কারণে দেখা দেওয়া চরম মানবিক সংকট মোকাবিলায় তুরস্ক ও সিরিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইসরায়েল, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ।
আপনার মতামত লিখুন :