• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
ঘূর্ণিঝড় মোকা

বাংলাদেশে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম
বাংলাদেশে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ১০ মে এই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হতে পারে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) এক বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) ভারতীয় এনডিটিভিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য জানিয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর, তৎসংলগ্ন পূর্ব মধ্যাঞ্চলীয় বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ১০ মে। পরে আগামী ১২ মে সকালের দিকে উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে মোকা। ধারাবাহিকভাবে গতিপথ বদলও হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকার উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশের দাবি, রোববার ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে মোকা ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের মংডু জেলায়।

ভারতের সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দিকে যেতে পারে এই ঝড়। তবে ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে ওড়িশাতেও। তবে ‘মোকা’ তৈরি হওয়ার পর ঠিক কোন দিকে ধেয়ে আসবে, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারছে না তারা।

সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলার পর্যাপ্ত পরিস্থিতি নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই।”

তিনি আরও বলেন, “ঘূর্ণিঝড়কে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আমরা উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করব। কারণ, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ এবং তারপর মিয়ানমারের দিকে চলে যাবে।”

Link copied!