• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

সুড়ঙ্গে আটকে থাকার ১৭ দিন পর ৪১ শ্রমিক উদ্ধার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৩, ১১:২৯ পিএম
সুড়ঙ্গে আটকে থাকার ১৭ দিন পর ৪১ শ্রমিক উদ্ধার
সুড়ঙ্গ থেকে একে একে বের করে আনা হয় শ্রমিকদের। ছবি-পিটিআই

সুড়ঙ্গে আটকে ধাকার ১৭ দিন পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ৪১ শ্রমিক। ভারতের উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে মাটি ধস পড়ায় ১৭ দিন আগে আটকা পড়েছিলো এই ৪১ শ্রমিক।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটায় শ্রমিকদের নিরাপদে সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হয়।

রাত ৮টা ৩৮ মিনিটের মধ্যে উদ্ধারের সকল কাজ সম্পন্ন হয়। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন আটকেপড়া শ্রমিকদের স্বজনেরা।

গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। এরপর ভিতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এত দিন ধরে তাদের বের করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই। খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার বাধা আসে।

ধ্বংসস্তূপের ভিতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকান খননযন্ত্র। উদ্ধারকাজ থমকে যায়। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের বিষয়ে অনবরত খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ধামীকে একাধিক বার ফোনও করেছেন।

উদ্ধার করার আগে পর্যন্ত সুড়ঙ্গের শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। পাইপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা চলছিল। পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

সুড়ঙ্গে থাকাকালীন শ্রমিকদের প্রথম ভিডিও প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার। পাইপের মাধ্যমে ক্যামেরা পাঠান উদ্ধারকারীরা। সেখানেই দেখা যায় সুড়ঙ্গের ভিতর কীভাবে, কী অবস্থায় রয়েছেন তারা।

খননযন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় দুই ভাবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নতুন করে শুরু হয়েছিল। খননযন্ত্রের সব টুকরোগুলি সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনার পর খনি শ্রমিকেরা সেখানে ঢুকে যন্ত্র ছাড়াই খোঁড়া শুরু করেন। ১০-১২ মিটার পথ সেভাবেই খুঁড়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘ইঁদুর-গর্ ‘ প্রক্রিয়া। ইঁদুরের কায়দায় গর্ত খুঁড়ে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

এছাড়া, সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্ব ভাবে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়েছিল। ৮৬ মিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল ৪২ মিটার।

পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধপত্র আগে থেকেই শ্রমিকদের জন্য ঘটনাস্থলে মজুত রাখা হয়। প্রস্তুত ছিলো অস্থায়ী হাসপাতালও। তবে ৪১ শ্রমিকের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।

Link copied!